ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যশুরু

আগের সংবাদ

অর্থ পাচার উৎসাহিত হবে! পাচার হওয়া টাকা অর্থনীতির মূল¯্রােতে আনতে চান অর্থমন্ত্রী > বৈষম্যের শিকার হবেন সৎ করদাতারা : বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

৭০ বছর আগে ঢাকায় বাজারসদাই ও দরদাম

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সত্তর বছর আগে ঢাকার বাজার করার স্মৃতি এখনো যাদের মনে সজীব, আজকের বাজার দরে তাদের হোঁচট খাবারই কথা। একালের বাজার গবেষক এবং আগ্রহী পাঠক পেছন ফিরে দেখতে পারেন ৭০ বছর আগের ঢাকা শহর। স্বর্ণ-রৌপ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়, তবুও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তখনকার ঢাকার স্মার্ট যুবকের হাতে কোনো ঘড়ি, যুবতীর মুখে কোনো ক্রিম, বড় পদের কর্মকর্তার পকেটে কোনো কলম- তারও একটি চিত্র পাওয়া যাবে।
প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকাই ছিল পূর্ব বাংলা কিংবা পূর্ব পাকিস্তানের আয়না। ঢাকার বাজার ও বাজার দরে প্রতিফলিত সাড়ে ৪ কোটি মানুষের প্রদেশটির চিত্র। সুবিধাজনক অবস্থানে ১৯৫২ সালে ১ হাজার টাকায় কেনা এক বিঘা জমির দাম এখন ৩০০ কোটি টাকা।
১৯৫২ সালে ৮৩ টাকা ভরির স্বর্ণ ৭০ বছর পর ২০২২ সালে ৭৬ হাজার টাকা। একই সময়ের সাড়ে ৫ টাকার ১০০ ডিম কিনতে এখন লাগছে প্রায় ১১০০ টাকা। ১ মার্কিন ডলার কিনতে তখন খরচ হতো ৩.৩১ টাকা। ২০২২ সালের মে মাসে খোলা বাজারে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল হালে কিছুটা নেমেছে। এই রচনাটিতে ১৯৫২ সালে ঢাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার দর এবং দ্বিতীয় অংশে ১৯৫৩ সালে ঢাকায় ভোগ্যপণ্যের বাজারদর বিশ্বাসযোগ্য সরকারি উৎস থেকে আহরণ করা হয়েছে।

১৯৫২-র ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের বাজার দর
স্বর্ণ : প্রতি তোলা ৮৩ টাকা। রৌপ্য : প্রতি ১০০ তোলা ১৩১ টাকা। সে সময় কেন্দ্রীয় রাজধানী করাচিতে স্বর্ণ প্রতি তোলা ৮১ টাকা এবং রৌপ্য প্রতি ১০০ তোলা ১২৭ টাকা, ঢাকার চেয়ে কম।

চাল, গম, ডাল
২৭ ডিসেম্বর ১৯৫২ সালে সমাপ্ত সপ্তাহে চালের বাজার দরে কোনো ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যায়নি। এ সময় ঢাকায় মোটা চালের পাইকারি দর মণপ্রতি ১৮ টাকা ১২ আনা। মাঝারি ২১ টাকা এবং সরু চাল ২৩ টাকা। আগের বছরের একই সময়ের দর যথাক্রমে ২০ টাকা ৮ আনা, ২১ টাকা ৮ আনা এবং ২৩ টাকা ১২ আনা। খোলাবাজারে মোটা চালের খুচরা দর আউশ ও বোরো প্রতি সের ৭ আনা ৯ পয়সা, মাঝারি ৮ আনা ৬ পয়সা, সরু প্রথম শ্রেণির বালাম ৯ আনা ৬ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে।
একই সময়ে আটার পাইকারি দর মণপ্রতি ২৩ টাকা ১২ আনা। আগের সপ্তাহ থেকে ৪ আনা বেড়েছে কিন্তু ১৯৫১ সালের একই সময়ের চেয়ে ৫ আনা কম। আটার খুচরা দর সেরপ্রতি ১০ আনা।
মসুর ডাল (ছোট দানা) মণপ্রতি ২১ টাকা ১২ আনা। আগের সপ্তাহে ছিল ২২ টাকা ২ আনা; কিন্তু ঠিক এক বছর আগে ১ মণ মসুর ডালের পাইকারি দর ছিল ৩১ টাকা। পাইকারি দর মণপ্রতি মুগ ৩০ টাকা ৮ আনা, খেসারি ১২ টাকা ৬ আনা ও বুট ১৯ টাকা ৮ আনা, অড়হর ১৭ টাকা ৪ আনা এবং মটর ২২ টাকা ২ আনা। মসুর ডালের দাম পূর্ববর্তী সপ্তাহের চেয়ে কমেছে; কিন্তু মুগ, খেসারি ও বুটের দাম বেড়েছে।

আলু, পেঁয়াজ, বেগুন ইত্যাদি
নতুন আলু নামায় বেশ দরপতন ঘটেছে। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৫২ সালে সপ্তাহে নৈতিতাল ও দেশি আলুর দর মণপ্রতি ২২ টাকা ২ আনা, আগের সমাপ্ত ছিল ২৭ টাকা ৮ আনা। খুচরা দর প্রতি সের ১১ আনা।
বিস্ময়কর দরপতন পেঁয়াজের বাজারে। ১৯৫১-এর ২৯ ডিসেম্বর সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকার পাইকারি বাজারে ১ মণ পেঁয়াজের দাম ছিল ৩২ টাকা। কিন্তু ১৯৫২ সালে একই সময়ে তা নেমে এসেছে ৬ টাকা ৬ আনায়।
১৯৫১ সালের এই সময় বেগুনের দর ছিল প্রতি মণ ১৭ টাকা, ১৯৫২-তে তা নেমে এসেছে ১১ টাকা ৮ আনায়। খুচরা প্রতি সের ৬ আনা। লাউ প্রতি শ ৪৩ টাকা ৪ আনা, আগের সপ্তাহে ৪৪ টাকা ৮ আনা আর ১৯৫১-তে ৫০ টাকা। তিন সের ওজনের লাউ প্রতিটির খুচরা মূল্য ৮ আনা ৬ পয়সা। মিষ্টি কুমড়া প্রতি শ ৩৪ টাকা ৮ আনা, আগের সপ্তাহে ৩২ টাকা আর আগের বছর ৩১ থেকে ৩২ টাকা।

তেল-ঘি
এক বছরে তেলের লক্ষণীয় মূল্যহ্রাস ঘটেছে। ১৯৫২-র ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সর্ষের তেলের মণ ছিল ১০৫ টাকা। বাদাম তেল ১১০ টাকা ও নারিকেল তেল ১২০ টাকা। ১৯৫২-তে দর পড়ে গিয়ে তেলের দর দাঁড়ায় বাদাম ৬২ টাকা এবং নারিকেল ৮১ টাকা। খুচরা বাজারে সর্ষে প্রতি সের ২ টাকা, বাদাম ১ টাকা ১২ আনা এবং নারিকেল ২ টাকা ৪ আনা। গোটা সর্ষে প্রতি মণ ২৩ টাকা ৪ আনা। আগের বছরের দর ৩২-৩৩ টাকা। খুচরা দর প্রতি সের ১২ আনা ৩ পয়সা। কেরোসিন তেল ৪ গ্যালনের টিন ৬ টাকা ১২ আনা। ঘি প্রতি মণ ২৭৫ টাকা, আগের বছর ৩০০ টাকা, খুচরা প্রতি সের ৭ টাকা ৮ আনা।

মাছ, মাংস, হাঁস, মুরগি ও ডিম
১৯৫১-র তুলনায় ১৯৫২-র ডিসেম্বরে মাছ ও মাংসের দর কম।
রুই মণপ্রতি ৬০ টাকা (আগের বছর ৬৬-৭০ টাকা), ইলিশ ৫৭ টাকা ৮ আনা (আগের বছর ৬০-৬৩ টাকা), কাতলা ৫৮ টাকা (আগের বছর ৬৫-৬৮ টাকা), বোয়াল ৩৫ টাকা ৮ আনা (আগের বছর ৫০ টাকা), চিংড়ি মাঝারি আকৃতির ৪১ টাকা (আগের বছর ৫২-৫৪ টাকা) এবং শোল ৪০ টাকা (আগের বছর ৫২ টাকা)।
খুচরা দর প্রতি সের রুই ১ টাকা ১২ আনা, ইলিশ ১ টাকা ১১ আনা, কাতলা ১ টাকা ১০ আনা, বোয়াল ১ টাকা, ছোট চিংড়ি ১ টাকা ১ আনা, বড় চিংড়ি ১ টাকা ৪ আনা, শোল ১ টাকা ২ আনা।
গরুর মাংস খুচরা প্রতি সের ১ টাকা ৭ আনা, খাসি ২ টাকা ৮ আনা। আগের বছর গরুর দর ছিল ১ টাকা ৮ আনা এবং খাসি ৩ টাকা।
বড় মুরগি জোড়া ৩ টাকা ১৩ আনা, ছোট মুরগি জোড়া ২ টাকা ৪ আনা, হাঁস জোড়া ২ টাকা ১৪ আনা। আগের বছর এই দর ছিল যথাক্রমে ৪ টাকা ৪ আনা, ২ টাকা ৮ আনা এবং ৪ টাকা। এখানেও লক্ষণীয় মূল্যহ্রাস ঘটেছে। ডিমের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি ১০০ মুরগির ডিম আগের সপ্তাহের ৬ টাকা ৬ আনা থেকে নেমে ৫ টাকা ১০ আনায় স্থির হয়েছে। হাঁসের ১০০ ডিম ৬ টাকা ২ আনা থেকে ৫ টাকা ৬ আনায় নেমেছে। আগের বছর হাঁস ও মুরগির ডিমের একই দর ছিল প্রতি ১০০ ৬ টাকা ৮ আনা। ডিমের খুচরা দর প্রতি হালি মুরগি ৪ আনা ৬ পয়সা, হাঁস ৪ আনা ৬ পয়সা।

লবণ, চিনি ও গুড়
লবণ প্রতি মণ সাড়ে ৯ টাকা; কিন্তু আগের মাসে ছিল ১০ টাকা। খুচরা প্রতি সের ৪ আনা। চিনি প্রতি মণ ৪৪ টাকা; খুচরা প্রতি সের ১ টাকা ২ আনা। গুড় প্রতি মণ ২৫ টাকা ৮ আনা, আগের বছর এই দর ছিল সাড়ে ২৩-২৪ টাকা। খুচরা প্রতি সের ১২ আনা ৬ পয়সা।

হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন
আগের বছরের চেয়ে দাম বেড়েছে রসুন, হলুদ, গোলমরিচ, দারুচিনির; দাম কমেছে শুকনো মরিচ, আদা, ধনে, লবঙ্গ, জিরা ও জায়ফলের। ১৯৫২ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের পাইকারি দরের সঙ্গে বন্ধনীতে ১৯৫১ সালের দর উল্লেখ করা হলো।
রসুন ৪৩ টাকা ৮ আনা (৩৪ টাকা), শুকনো মরিচ ৩৮ টাকা (৯৫ টাকা), আদা ১৯ টাকা ৮ আনা (৩৪ টাকা), হলুদ ৮৫ টাকা ৮ আনা (৫৫ টাকা), গোলমরিচ প্রতি সের ২৯ টাকা ৮ আনা (১৭ টাকা ৮ আনা থেকে ১৮ টাকা), ধনে প্রতি মণ ১৫ টাকা ৮ আনা (৪০ টাকা), দারুচিনি ১২০ (৭০ টাকা), লবঙ্গ প্রতি সের ২৭ টাকা ৮ আনা (৫ টাকা ৮ আনা), জিরা প্রতি মণ ৬৯ টাকা (৯৫ টাকা), কালিজিরা ৯৮ টাকা (৯৫ টাকা), এলাচ (ছোট) প্রতি সের ৪৮ টাকা ৮ আনা (৪৮ টাকা)।
খুচরা দর প্রতি সের রসুন ১ টাকা ৫ আনা, শুকনো মরিচ ১ টাকা ৪ আনা, আদা ১০ আনা, হলুদ ২ টাকা ৮ আনা, ধনে ৮ আনা।
খুচরা দর প্রতি ছটাক গোলমরিচ ২ টাকা ২ আনা, দারুচিনি ৪ আনা, লবঙ্গ ১ টাকা ১২ আনা, জিরা ২ টাকা আনা, কালিজিরা ২ টাকা ৩ আনা, এলাচ (বড়) ১ টাকা ১০ আনা, এলাচ (ছোট) ৩ টাকা ৬ আনা, জায়ফল ১০ আনা।

দুধ, চা, সুপারি, তামাক
১৯৫২-র ডিসেম্বরে প্রতি মণ ২১ টাকা ১২ আনা (আগের বছর এ সময় তা ছিল ২৪ টাকা ৮ আনা থেকে ২৫ টাকা), খুচরা প্রতি সের ১০ আনা। চায়ের দরও কমেছে। চা-পাতা প্রতি পাউন্ড খুচরা দর ২ টাকা (আগের বছরের দর আড়াই টাকা), গুঁড়া চা প্রতি পাউন্ড ১ টাকা ১২ আনা। সুপারি পাইকারি প্রতি মণ ৪৮ টাকা, খুচরা প্রতি সের ১ টাকা ৭ আনা।
মাখানো তামাক পাইকারি প্রতি মণ ৬৯ টাকা, তামাকপাতা- মতিহারি প্রতি মণ ১৩০ টাকা (আগের বছরের চেয়ে দাম অনেক কমেছে)।

দেয়াশলাই, সাবান, জ্বালানি কাঠ
ট্রায়াঙ্গল ব্র্র্যান্ড দেয়াশলাই প্রতি গ্রোস ৮ টাকা ৪ আনা (আগের বছর এই দর ছিল ৫ টাকা ১০ আনা), খুচরা দেয়াশলাই প্রতিটি ১ আনা। সাবান (কাপড় ধোয়া) প্রতি মণ ৪৫ টাকা, খুচরা প্রতি সের ১ টাকা ৬ আনা। লাকড়ি (জ্বালানি কাঠ) প্রতি ১০০ মণ ২০৫ টাকা, খুচরা প্রতি মণ গজারি লাকড়ি ২ টাকা ১১ আনা। ১৯৫১-তে তা ৩ টাকায় কিনতে হতো।

কলা ও নারিকেল
শবরি কলা প্রতি কুড়ি ১ টাকা ৪ আনা (আগের মাসে ছিল ১ টাকা ৬ আনা আর আগের বছর ১ টাকা ১২ আনা) খুচরা দর প্রতি হালি ৪ আনা ৬ পয়সা। অমৃতসাগর কলা প্রতি কুড়ি ১ টাকা ৯ আনা, আগের মাসে ১ টাকা ১২ আনা আর আগের বছর ১ টাকা ৮ আনা। খুচরা দর প্রতি হালি ৬ আনা।

ভোগ্যপণ্যের বাজার ১৯৫৩
টর্চ, হারিকেন, বাল্ব
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ২ ব্যাটারির টর্চ প্রতি ডজন ৪৮ টাকা, খুচরা প্রতিটি ৪ টাকা ৮ আনা; সিঙ্গাপুরের তৈরি এভারেডি ব্যাটারি প্রতি ডজন ৬ টাকা ৮ আনা, খুচরা প্রতি জোড়া ১ টাকা ৮ আনা।
হারিকেন : ডিইটজ (ছোট) পাইকারি প্রতি ডজন ৮৬ টাকা ৮ আনা, খুচরা ৭ টাকা ৮ আনা। হারিকেনের দাম অনেক বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ছিল প্রতি ডজন ৬৫ টাকা। অ্যালুমিনিয়াম হাঁড়ি পাইকারি প্রতি সের ৭ টাকা, খুচরা প্রতি তোলা ১ আনা ৬ পাই; অ্যালুমিনিয়াম ডেকচির মূল্যও একই। এনামেল বাটি প্রতি ডজন ১৩ টাকা ৮ আনা, খুচরা প্রতিটি ১ টাকা ৪ আনা। বড় বাটি প্রতি ডজন পাইকারি ৭ টাকা ৮ আনা, প্রতিটি ১২ আনা।

কাগজ, কালি ও কলম
সাদা কাগজ পাইকারি প্রতি রিম ১২ টাকা, খুচরা প্রতি দিস্তা ১০ আনা, কলম খুচরা দর পাইলট ৬ টাকা, পার্কার (জুলিয়র) ২৭ টাকা, পেন্সিল (মাস্টার ইংল্যান্ড) পাইকারি প্রতি ডজন ১ টাকা ১৪ আনা, খুচরা ৩ আনা, পার্কার কালি প্রতি ডজন ১১ টাকা, খুচরা প্রতিটি ১ টাকা।

টুথপেস্ট ও ব্রাশ
ফরহ্যান্স (বড়) পাইকারি প্রতি ডজন ১৮ টাকা, আগের মাসে দাম ছিল ১৩ টাকা ৮ আনা, খুচরা প্রতিটি ১ টাকা ১২ আনা। কোলগেট এক ডজন ২০ টাকা ৮ আনা, আগের মাসের দর ১৩ টাকা। খুচরা প্রতিটি ২ টাকা।
১৯৫২-১৯৫৩-র দরে বাজার করতে হলে টাইম মেশিনে সত্তর বছর পিছিয়ে যেতে হবে।

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়