সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী : ১ কোটি পরিবার পাবে টিসিবি পণ্য

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পবিত্র ঈদুল-আজহা উপলক্ষে চলতি মাসে সারাদেশে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে দুই লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, দুই কেজি মশুর ডাল সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম শুরু হবে। এতে নি¤œ আয়ের মানুষ উপকৃত হওয়া ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকবে এবং কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে প্রতি মাসে টিসিবি থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে বিক্রি করা হবে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের তারকাচিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। এই অধিদপ্তর প্রত্যেক মাসে সারাদেশে তিনশর বেশি বাজার পরিদর্শনমূলক অভিযান পরিচালনা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে ৪২টি বাজার মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন চারটি করে সপ্তাহে মোট ২৮টি টিম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়লে পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে টিসিবি ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে তিনি হাজার ডিলারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ট্রাক সেলের মাধ্যমে খোলাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে। বর্তমানেও জরুরি পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে তেল, ডাল, চিনি ও পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সব সিটি করপোরেশন (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কপোরেশন এবং বরিশাল সিটি কপোরেশন এলাকা ব্যতীত), জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দেশের সব জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নি¤œ আয়ের এক কোটি পরিবারের কাছে প্রথমবার রমজান শুরুর আগে ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়বার রমজানের মাঝামাঝি সময়ে ৩ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট দুই বার টিসিবির পণ্যসামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোক্তাপর্যায়ে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক পার্থক্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে পাকা রশিদের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করছে। এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়