সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী : ৫ শতাংশের মালিককে ডিপোর মালিক বলা সমীচীন নয়

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর পাঁচ শতাংশের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমানকে পুরো ডিপোর মালিক বানিয়ে দেয়া বিশাল ভুল, কোনোভাবেই সেটি সমীচীন নয়- এমন কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমানের মালিকানা মাত্র পাঁচ শতাংশ আর ৯৫ শতাংশ হচ্ছে অন্যদের। সেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ নেদারল্যান্ডসের, মজিবুর রহমানের মাত্র ৫ শতাংশ এবং বাকিটা আরেক জনের। এই ৫ শতাংশ মালিকানার সূত্র ধরে মজিবুর রহমানকে ডিপোর মালিক বানিয়ে দেয়া বিশাল ভুল। প্রথম ভুলটা হয়েছে গণমাধ্যমের। সেটির সূত্র ধরে বিএনপি মিথ্যাচার শুরু করেছে। এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে এটকোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন, এটকোর সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পরিচালক আব্দুল হক, কাজী জাহেদুল হাসান, লিয়াকত আলী খান মুকুল, আহমেদ জুবায়ের, নাভিদুল হক প্রমুখ।
পদ্মা সেতু নিয়ে ড. হাছান বলেন, যে গোষ্ঠী পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরুর সময় নরবলি দিতে হবে বলে গুজব রটিয়েছিল। সারাদেশে ছেলেধরা গুজব রটিয়ে দেয়ায় বহু নিরীহ মানুষ হামলার শিকার হয়েছিল, অনেকে মৃত্যুবরণও করেছিল, সেই একই গোষ্ঠী এখনো গুজব রটানোর কাজগুলো করছে।
রাঙ্গামাটিতে একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এ আইনে অনেক সাংবাদিকও বিভিন্ন সময় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত সাংবাদিকের জামিনও হয়েছে। কেউ অপরাধ করলে বিচার হওয়া প্রয়োজন। তবে সাংবাদিক বা অন্য কারো অযথা হয়রানির শিকার হওয়া উচিত নয়, বিষয়টি অবশ্যই দেখব। এর আগে বৈঠকে এটকোর নেতারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তারা বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ধার্য করা বিশেষ কর, ক্লিনফিড এবং দ্রুত টিআরপি শুরু করা নিয়ে আলোচনা করেন। দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ‘টক-শো’সহ নানা ধরনের ভিডিও দেখানো এবং আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার বন্ধে আইন প্রয়োগের দাবি জানান। অনিবন্ধিত আইপি টিভি বন্ধেরও দাবি জানান তারা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল পরিবেশনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পত্রিকার ডিক্লারেশনে তাদের ‘টক-শো’ করা, ভিডিও দেখানোর অনুমতি দেয়া হয়নি। আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচারও সরকারের নীতিমালার পরিপন্থি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়