সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

চাল মজুতের মামলা : স্কয়ার গ্রুপের অঞ্জন চৌধুরীর জামিন বহাল

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চাল মজুতের মামলায় স্কয়ার গ্রুপের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরীর ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন আপিল বিভাগেও বহাল রয়েছে। গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে অঞ্জন চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
গত সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগাম জামিন আদেশ দিয়েছিলেন। গত ১ জুন দিনাজপুর সদরে স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজের গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল জব্দ করে প্রশাসন। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মিলের ইনচার্জকে। দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মঈদ বলেন, উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ বাজারে কোম্পানিটির ছয়টি গুদামে গত ৩১ মে বিকেল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় মিলের ছয়টি গুদামে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল পাওয়া যায়। তবে মিলে অনুমোদন রয়েছে মাত্র ৩১২ টনের। সে হিসেবে বেশি মজুত ছিল সাড়ে চার হাজার টনেরও অধিক চাল।
এ সময় কাগজপত্র ও মিলে চাল মজুতের হিসাব চাওয়া হলে মিলের ইনচার্জ জায়েদ হোসেন সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে মিলের কর্মকর্তারা বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে আসেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে মিলের ছয়টি গুদামে রাখা চাল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের জিম্মায় দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায় বাদী হয়ে মিলের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী ও মিলের ইনচার্জ জায়েদের নামে একটি অভিযোগ দেন। মিলের ইনচার্জকে পুলিশে দেয়া হয়। এত পরিমাণ চাল জব্দ হওয়ায় এটির বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা সম্ভব নয়। অভিযোগটি কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পাঠানো হয়েছে। জব্দ চালের বাজারমূল্য প্রায় ৪১ কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়