রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

উৎসব-নববর্ষ ভাতা প্রদানের বিধান : ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আইন’ বিল উত্থাপিত সংসদে

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অবসরগ্রহণকারী বিচারকদের জন্য উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রদানের বিধান রেখে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২২’ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে বিচারকদের পূর্ণ বছরের জন্য অতিরিক্ত পেনশন হিসেবে মাসিক সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান এবং প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর সুবিধাদি গত বছরের মে মাস থেকে কার্যকর গণ্য করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বিলে অবসরের পর বিচারকরা যে পরিমাণ গ্রস-পেনশন প্রাপ্য হবেন, তার অর্ধেক বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পণের বিধান রাখা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশনের গতকাল মঙ্গলবারের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন এন্ড প্রিভিলেজ) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ রহিত করে মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলটি পুনঃপ্রণয়ন করা হয়েছে। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে মাসিক বেতনের সমহারে এবং অর্ধ গড় বেতনের ছুটিতে থাকাকালে মাসিক বেতনের অর্ধেক হারে ছুটিকালীন বেতন পাবেন। পূর্ণ গড় বেতনে প্রদত্ত ছুটি, অর্ধ গড় বেতনে প্রদত্ত ছুটির দ্বিগুণ হিসেবে গণনা করা হবে। তবে অর্ধ গড় বেতনে প্রাপ্য ছুটির হিসাব সংরক্ষিত থাকতে হবে। কোনো বিচারক তার মোট কর্মকালীন ছুটির শর্তানুযায়ী অর্ধ গড় বেতনে ৩৬ মাস ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া পূর্ণ গড় বেতনের ছুটি এককালীন পাঁচ মাস এবং অন্য কোনো ছুটি ১৬ মাসের অধিক হবে না। কোনো বিচারক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণ করলে কোনো ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। কোনো বিচারক অনভিপ্রেত কোনো আঘাতের দ্বারা আহত হয়ে কর্মে অক্ষম হলে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি প্রাপ্য হবেন। এছাড়া কোনো বিচারক অনুমোদিত ছুটি বা অবকাশের অতিরিক্ত অনুপস্থিতিকালের জন্য কোনো বেতন প্রাপ্য হবেন না। ছুটি মঞ্জুরের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংরক্ষিত।
বিলে পেনশনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, কমপক্ষে পাঁচ বছর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর বা অবসরগ্রহণের বয়সসীমা পৌঁছার আগে অসুস্থতাজনিত কারণে অবসরে গেলে বা অপসারিত হলে বা ১০ বছর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর বা অবসরগ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছার আগে পদত্যাগ করলে বিচারকরা পেনশন সুবিধা পাবেন। এ ক্ষেত্রে জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত বিচারকদের জন্য নিজস্ব সার্ভিসের অনুমোদিত হিসেবে পেনশন প্রাপ্য হবেন। এছাড়া অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় স্থায়ী নিয়োগ পেলে অস্থায়ী কর্মকাল স্থায়ীকাল হিসেবে গণ্য হবে। মাসিক পেনশন সাকুল্যে সর্বশেষ উত্তোলিত বেতনের বেশি হতে পারবে না। বিলে বিচারকদের আঘাতজনিত আনুতোষিক এবং পেনশন সুবিধা পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের আইন দ্বারা ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন এন্ড প্রিভিলেজ) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ কার্যকর রাখা হয়। অধ্যাদেশটির আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নতুন আইন আকারে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন’ বিল-২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়