ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

নতুন রূপে পুরনো সাকিব

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ক্রিকেটের যে কোনো ফরম্যাটে আস্থার প্রতীক সাকিব আল হাসান। তার ব্যাট ও ঘূর্ণিতে গুরুত্বপূর্ণ সময়েও সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। সাম্প্রতিককালে সাদা পোশাকে অধিনায়কত্বের চাপ সামলাতে মুমিনুল হক ব্যর্থ হওয়ার ফলে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই সাদা পোশাকে টাইগারদের নেতৃত্ব দিবেন সাকিব আল হাসান। ২০০৭ সাল থেকে লাল-সবুজের হয়ে সাদা পোশাকে অভিষেক হয়েছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। সাদা পোশাকে টাইগারদের এই অলরাউন্ডার ৬১ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৭টি হাফসেঞ্চুরি, ৫টি সেঞ্চুরি ও ১ডি ডাবল সেঞ্চুরির সাহায্যে ৪১১৩ রানের মালিক। অপরদিকে বল হাতে সমানসংখ্যক ম্যাচে ২২৪ উইকেট পেয়েছেন। যেখানে ১৯ বার ৫টি করে এবং দুবার ১০টি করে উইকেট নিয়েছেন। টেস্ট ফরম্যাটে দীর্ঘ সময় অতিক্রম করলেও অধিনায়ক হিসেবে খুব বেশি সময় অতিক্রম করেননি। এ পর্যন্ত তিন ধাপে সাদা পোশাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্পর্ক সমানুপাতিক। তিনবারের তিনবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অধিনায়কত্বে দায়িত্ব পেয়েছেন। সর্বপ্রথম অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেছেন ২০০৯ সালে। মাশরাফি বিন মর্তুজা ইনজুরিতে পরলে প্রথম টেস্টের বাকি অংশ তার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এরপর দ্বিতীয় টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে দায়িত্ব পান মুশফিকুর রহিম। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০১৮ সালে আবারো সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই অধিনায়কত্ব ফিরে পান সাকিব। এরপর আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার শাস্তিতে পরে আবার অধিনায়কত্ব হারান তিনি। এবারো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগেই অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে দুই ধাপে মোট ১৩টি টেস্ট ম্যাচ হয়েছে তার নেতৃত্বে। ১৩ ম্যাচে সাকিব আল হাসান নিজের নামের পাশে ব্যাট হাতে যোগ করেছেন ৮৬৩ রান ও বল হাতে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। যেখানে ৬টি হাফসেঞ্চুরি, ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি ফাইফার লাভ করেছেন।
সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালে মাশরাফির ইনজুরির ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ব্যাট হাতে ৪৭ ও বল হাতে দুই ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সিরিজের পরের ম্যাচে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানে ৩ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১৬ রানের পাশাপাশি ও দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন ৯৬ রানে অপরাজিত ইনিংস। অসাধারণ জয় উপহার দিয়ে শুরু করেছিলেন তার টেস্ট যাত্রা। এরপর ২০১০ সালে ৪টি সিরিজ খেলেছেন। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬২ রানে ৫ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১১২ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ব্যাট হাতে উভয় ইনিংসেই ১৭ রান করে নিয়েছেন। সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচেও আধিপত্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে বল হাতে ১১৮ রানে ২ উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে করেছেন ৪১ রান। দুই ম্যাচেই হেরেছে ভারতীয়দের বিপক্ষে। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৮৯ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন ১ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই উজ্জ্বল ছিল সাকিবের ব্যাট। প্রথম ইনিংসে ৮৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান করেছেন। এরপরও ১২১ রানে হেরেছে সেই ম্যাচটি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বল হাতে ১৩৩ রানে নিয়েছিলেন ১ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে মিলিয়ে করেছেন মাত্র ৫ রান। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে প্রথম ইনিংসে ১২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে কাটা পড়েছে কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করলেও ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছে সাজঘরে। তবে এই সিরিজেও দুই ম্যাচেই হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংসে মাত্র ৩ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতেও ছিলেন ব্যর্থ। এক ইনিংসে ৪০ করলেও অপর ইনিংসে মাত্র ১ রান করেই ফিরেছেন সাজঘরে। পরের টেস্টে বল হাতে জ¦লে উঠেছেন। প্রথম ইনিংসেই ১২১ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ফলোঅনে পড়ার ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করার সুযোগ পাননি সাকিব। – ইফতেখার শিমুল

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়