ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার ১০ : আটা-ময়দার সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে ওষুধ তৈরি

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্যানটোনিক্স, সেকলো, মোনাস ১০, সার্জেল ক্যাপসুল, ফিনিক্স ২০, অ্যান্টিবায়োটিক থিজা, মাইজিদ ৫০০, ন্যাপ্রক্সেন প্লাস ও জিঙ্কগো বিলোবা- বিভিন্ন রোগের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত এই ওষুধগুলোই তৈরি করা হয় আটা বা ময়দার সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে। শুধু তৈরিই নয়, ফয়েল পেপার দিয়ে এমনভাবে এসব ওষুধ মোড়কজাত করা হয়, যাতে বোঝার কোনো উপায়ই থাকে না যে এগুলো আসল না নকল।
হিমালয় ল্যাবরেটরিজ নামের এমন একটি নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ও গুদামে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত রবিবার রাজধানীর মিটফোর্ড, কুমিল্লার কাপ্তান বাজারের কার্যালয় ও প্রতিষ্ঠানটির সাভারের গুদামে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। এ অভিযানে প্রায় ২২ লাখ পিস ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়, যা ডিবির পরিচালিত অভিযানে সর্বোচ্চ জব্দ করা নকল ওষুধ। গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোর্শেদ আলম শাওন (৩৫), কবির হোসেন (৪৪), আল আমিন চঞ্চল (৩৫), মো. নাজিম উদ্দিন (৪২), মো. তৌহিদ (২৮), আইনুল ইসলাম (৩২), মো. সাগর (১৯), মো. আবির (২১), মো. রুবেল (২৩) এবং মো. পারভেজ (৩২)। গতকাল সোমবার ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে হাফিজ আক্তার জানান, কুমিল্লার হিমালয় ল্যাবরেটরিজ প্রতিষ্ঠানটির আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানানোর কথা থাকলেও তারা তৈরি করছিল দেশি-বিদেশি বহুল ব্যবহৃত অন্তত ৯টি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ। ওষুধগুলোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হতো আটা-ময়দা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে ঢাকার বাইরের এলাকাগুলোকে টার্গেট করত তারা।
তিনি জানান, জব্দ করা ওষুধের মধ্যে রয়েছে- ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যানটোনিক্স, স্কয়ার কোম্পানির সেকলো, দি একমি ল্যাবরেটরিজের মোনাস ১০, হেল্থকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সার্জেল ক্যাপসুল, অপসোনিন ফার্মার ফিনিক্স ২০, কুমুদিনি ফার্মার অ্যান্টিবায়োটিক থিজা, অ্যামবি ফার্মাসিউটিক্যালসের মাইজিদ ৫০০, জেনিথের ন্যাপ্রক্সেন প্লাস ও ব্রোনসন-ইউএসএর জিঙ্কগো বিলোবা। এসব ওষুধ ফয়েল পেপার দিয়ে সুন্দর করে মোড়কজাত করা হতো। তারপর প্যাকেজিং করে ছড়িয়ে দেয়া হতো ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বোঝার উপায় থাকত না এগুলো আসল না নকল ওষুধ।
এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, গত ছয় মাসে ভেজাল ওষুধ তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে ১৪টি। আগামীতে অভিযান ও মামলা আরো বাড়বে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ভেজাল বা নকল হওয়া নামিদামি কোম্পানিগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, সবাই একত্রে কাজ করলেই এ চক্রকে ধরাসহ ভেজাল বন্ধ করা সহজ হবে। আমরা কিছু দিন আগেও ভেজাল ও নকল ওষুধ তৈরি করে এমন ৭৯টি আয়ুর্বেদিক কারখানার একটি তালিকা দিয়েছিলাম, তারা (ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর) ব্যবস্থা নিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়