ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

অভিযোগ অস্বীকার : আইডিয়ালের সাবেক অধ্যক্ষকে দুষলেন বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর আইডিয়াল কলেজের সাময়িক বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ এবং দুই শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলী তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন এবং নানা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে এ ধরনের অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান তারা।
তারা দাবি করেন, এসব ঘটনায় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. শামছুল আলম জড়িত।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আইডিয়াল কলেজের (সেন্ট্রাল রোড, ধানমন্ডি) গভর্নিং বডি, অধ্যক্ষ ও দুইজন শিক্ষক সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে সাময়িক বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ অপর দুই বহিষ্কৃত শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে জসিম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ শামছুল আলমের অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া দুর্নীতিপরায়ণ, অযোগ্য ও সুবিধাভোগী শিক্ষক-কর্মচারী তাদের স্বার্থ চরিতার্থ এবং কলেজের সুনাম নষ্ট করতে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা ও বানোয়াট মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্বের সময়কাল নিয়েও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ শামছুল আলমের অবৈধ ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা এসব করছেন। তার নিকটাত্মীয় ও নিজ এলাকার প্রায় ৫৫ জন শিক্ষক কর্মচারী জোটবদ্ধ হয়ে মূলত কলেজটিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেন।
১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া এককভাবে কলেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন সম্ভব নয়।
এ সময় তিনি অর্থ ব্যয়ের হিসেব দেখিয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর করোনা মহামারির কারণে প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টিউশন ফি পাওয়া যায়নি। কলেজটি স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত হওয়ায় করোনাকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে কলেজের ১১ কোটি টাকার এফডিআর ভাঙানো হয়।
পিএইচডি বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য দুটি সেমিনারে (অনলাইনে) প্রেজেন্টেশন হয়। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদ ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডের কপি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে স্টুডেন্ট সার্ভিস প্যানেলে আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দেখা যাবে। ডিগ্রির থিসিস পেপার ভারতের দুইটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়