ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

লাইভে থেকে প্রাণ খোয়ালেন নয়ন

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর কর্মরত শ্রমিক ছিলেন কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলি গ্রামের অলিউর রহমান নয়ন (২৩)। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে থেকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন। হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। রাত ২টার দিকে অলিউর রহমান নয়নের মরদেহ নেয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ খবরে শোকের মাতম চলছে তার পরিবারে। চট্টগ্রামের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে গত শনিবার রাতে হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিলেন অলিউর। হঠাৎ অনেক শব্দে বিস্ফোরণ হলে তার হাতের মোবাইল ছিটকে যায়। তারপর চারদিকে আহাজারি, চিৎকার শোনা গেলেও অলিউর রহমান কোথায়, কী অবস্থায় আছেন তা জানা যায়নি। গতকাল রবিবার সকালে পরিবারের কাছে খবর আসে অলিউর মারা গেছেন।
নয়নের গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামে। তার বাবা আশিক মিয়া। পরিবারের ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি বড়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রায় ৪ মাস আগে একই গ্রামের বাসিন্দা

মামুন মিয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেন। মামুনও ওই জায়গায় কাজ করতেন।
তার মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভাগ্য বদলে ৪ মাস আগে চট্টগ্রামে যাওয়া বড় ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়েছেন বাবা আশিক মিয়া। অলিউর রহমান নয়নের চাচাতো ভাই জুনাব আলী জানান, রাতে লাইভ করার সময় অলিউরকে ঘটনাস্থল থেকে অনেকে টেনে নিতে চাইলেও সে সেখান থেকে যেতে চায়নি। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে সব অন্ধকার হয়ে যায়। এরপর থেকে নয়নের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নয়নের মা হাসিনা বেগম জানান, নয়নের সঙ্গে ফোনে শনিবার দুপুর ২টায় তার শেষ কথা হয়।
অলিউর রহমান নয়নের সহকর্মী রুয়েল বলেন, আমরা ওই সময় খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যায়। তার লাইভ ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, অলিউর আর বেঁচে নেই। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। মরদেহ আনার জন্য স্বজনরা চট্টগ্রাম যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়