পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

ভারতে বন্দরে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে ১৭ লাখ টন গম

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : গত মাসের মাঝামাঝি গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। তবে প্রতিবেশী ও দুর্বল দেশগুলোয় সরকারিভাবে গম রপ্তানি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। এরপর গম রপ্তানিতে লাগাম টেনেছে দেশটি। নিষেধাজ্ঞার পর ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২০২ টন গম রপ্তানি করেছে ভারত। কিন্তু এখন ভারতের বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়ে আছে অন্তত ১৭ লাখ টন গম। বর্ষা শুরু হওয়ায় এসব গম এখন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সরকারি ও এ খাত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২০২ টন গম রপ্তানি হয়েছে। এসব গমের বেশির ভাগ রপ্তানি হয়েছে মূলত বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, তানজানিয়া ও মালয়েশিয়ায়। নিষেধাজ্ঞার পর ভারত থেকে মোট গম রপ্তানির হিসাবও তিনিই দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গত এপ্রিলে গম রপ্তানির রেকর্ড করেছিল ভারত। ওই মাসে ভারত থেকে মোট ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন গম রপ্তানি হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর গত মে মাসে ভারতের গম রপ্তানি কমেছে। এ মাসে ভারত মোট ১১ লাখ ৩০ হাজার টন গম রপ্তানি করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ গম উৎপাদনকারী দেশ ভারত ১৪ মে গম রপ্তানিতে সাধারণ একটি নিষেধাজ্ঞা দেয়। তীব্র দাবদাহের কারণে ভারতে এবার গমের উৎপাদন কম হয়েছে। ব্যাপক রপ্তানি-চাহিদার মধ্যে স্থানীয় বাজারে গমের দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গম রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ওই দিন থেকেই তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। তবে ইতোমধ্যে গম রপ্তানির জন্য যাদের ঋণপত্র দেয়া হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে গম রপ্তানি করার সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া যেসব দেশ খাদ্য নিরাপত্তার কথা জানিয়ে গম সরবরাহের অনুরোধ করে, তারাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকে।
একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তিনজন ডিলার বলেছেন, কিছু গম গন্তব্যে পাঠানো হলেও এখনো বিভিন্ন বন্দরে ১৭ লাখ টন গম আটকা পড়ে আছে। নিষেধাজ্ঞার আগে রপ্তানিকারকেরা অস্বাভাবিকভাবে বন্দরে বিপুল পরিমাণ গম স্থানান্তরিত করে মজুত করে রেখেছিল। ফসল ভালো হবে এমন আশা থেকে ও ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগর হয়ে যে গম সরবরাহ ব্যবস্থা, তা অচল হয়ে যাওয়ায় সেই জায়গা দখল করতে সরকারও রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করছিল।
এছাড়া রপ্তানিকারকেরাও এ আশায় ছিলেন, গত বছর ৭২ লাখ টন গম রপ্তানি হলেও সরকার এবার ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টন গম রপ্তানির অনুমোদন দেবে। কিন্তু এরপর হঠাৎ করে সরকার গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে এসব গম বন্দরে আটকা পড়ে। সেসব গম এখন বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার ছুঁকিতে আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়