ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

জনবল সংকট : কোটচাঁদপুরে দুই বছরেও চালু হয়নি ৫ কমিউনিটি ক্লিনিক

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : কোটচাঁদপুরে নতুন ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন নির্মাণকাজ শেষ করার দুই বছর পরও জনবল সংকটের অজুহাতে আজো চালু হয়নি। এতে করে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ মা ও শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি টিকা কার্যক্রম এনসিডি রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেবাও দারুণভাবে বিঘিœত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এ উপজেলায় নতুন ৫টিসহ মোট ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি জনবল সংকটের কারণে চালু করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ বাকি ১১টি ক্লিনিকও নামে মাত্র চালু রাখা হয়েছে। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ উপজেলায় ৫টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দেয়। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণকাজ শেষ করে। স্বাস্থ্য বিভাগকে যথা নিয়মে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে ভবনগুলো হস্তান্তরও করে। এক একটি ভবন নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ছিল ২২ লক্ষাধিক টাকা। উপজেলার বলুহর, ছয়খাদা-শ্রীরামপুর, সুয়াদি, চতুরপুর ও মঙ্গলপুরে এ ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল সুয়াদী ও ছয়খাদা-শ্রীরামপুরের ক্লিনিক ২টি উদ্বোধন করেন। তবে আজো এর কার্যক্রম শুরু হয়নি। দীর্ঘদিন এসব ক্লিনিক চালু না হওয়ার কারণে বখাটেদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। কোনো কোনো ক্লিনিকের বারান্দায় ও আঙিনায় গরু, ছাগল বিচরণ করছে। মাঝে মধ্যে চাষিরা কৃষি পণ্য রাখছেন।স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, একটি ক্লিনিক চালাতে গেলে কমপক্ষে ১ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী দরকার। এখানে ১৬টি ক্লিনিকে ১১২টি পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৭৭ জন।
কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি বলেন, গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমার মা অশীতিপর বৃদ্ধ আনজান আরা বেগম ৮ শতক জমি দিয়েছেন। কিন্তু তিনি জীবিত থাকাবস্থায় ক্লিনিকের কার্যক্রম দেখে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ক্লিনিকগুলো চালু না হওয়ায় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়