কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

ছাতক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচেতনতা : পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেল হাজারো বন্যার্ত

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শংকর দত্ত, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে : ছাতক উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্য সচেতনায় পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে বন্যাকবলিত মানুষ। বন্যার সময় নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকর্তারা। উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ছিল। বন্যায় নোংরা পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডসহ পানিবাহিত নানা রোগ ছড়ানোর আতঙ্ক ছিল উপজেলাজুড়েই।
জানা যায়, ছাতক উপজেলায় বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা নেই বললেই চলে। তবে সিলেট শহর ও সুনামগঞ্জ জেলাজুড়েই বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগীর দেখা মিলে হাসপাতালগুলোতে। আরো জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হওয়ার পরপরই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তীর নির্দেশনায় ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে আশ্রয়কেন্দ্রে ও প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয় ক্যাম্পসহ বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে নৌকা ভাড়া করে নিজেদের পয়সা খরচ করে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিকরণসহ সাহায্য-সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। ডা. শামসুল আলম জানান, পানির কারণেই ডায়রিয়া রোগ হয় বলে আগে থেকেই বিশুদ্ধ পানি মজুত রাখা, এতে করে দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ে এই পানি ব্যবহার করা যাবে। পানি সংগ্রহ করা না গেলে বিশুদ্ধ করার উপকরণ যেমন- বিশুদ্ধকরণ বড়ি, পানি ফোটানোর জন্য জ্বালানি ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সাবান, পরিষ্কার পানির পাত্র ইত্যাদিও সংগ্রহ করতে হবে। রোগাক্রান্ত হলে যাতে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে যাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আহমদ হোসেন বলেন, ডায়রিয়া মূলত পানিবাহিত রোগ। খাবারের মাধ্যমে এ জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। বন্যার সময় দূষিত পানি পান করলেও ডায়রিয়া হতে পারে। তবে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করাও সহজ। সচেতন থাকলে ডায়রিয়া বা এ ধরনের পানিবাহিত রোগ এড়ানো সম্ভব।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তী জানান, বন্যার অবনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমার নিয়ন্ত্রণাধীন ইউনিয়নে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিকের সবাইকে নির্দেশনা দেই খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নাপা জাতীয় ওষুধসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তারাও যার যার সাধ্যমতো কাজ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়