নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি

আগের সংবাদ

অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার : অভিযানে বন্ধ অনেক প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

চাঁনবরু স্মৃতি পাঠাগার বাউফলের বাতিঘর

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফলে সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের দেশপ্রেম, মুক্তচিন্তার বিকাশ ও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মাঝপড়া গ্রামে সোনামুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত চাঁনবরু স্মৃতি পাঠাগার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা, সহায়ক বই থেকে নোট নেয়া, পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পড়া, গল্প, উপন্যাস, ছড়া এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনীসহ হরেক রকমের জ্ঞান অর্জনের সুবিধা থাকায় এরই মধ্যে বাউফলের সর্বত্র প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানান, মাঝপাড়া গ্রামের মরহুম মমিন উদ্দিন খানের ছেলে সবুর খান নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালে পিছিয়ে পড়া সমাজকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে গড়ে তোলেন চাঁনবরু বেগম স্মৃতি পাঠাগার। একই সঙ্গে তিনি মমিন উদ্দিন খান বিজ্ঞানাগার এবং চাঁনবরু-মমিন উদ্দিন ফাউন্ডেশনও গড়ে তোলেন। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কম্পিউটার শিক্ষা এবং শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করে প্রথমে কাজ শুরু করলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন একটি পরিপূর্ণ জ্ঞান অন্বেষণের আলোকবর্তিকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। পাঠাগারে শিক্ষার্থী ছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত ও বয়স্কদের জন্য রয়েছে দৈনিক জাতীয় পত্রিকা, আঞ্চলিক পত্রিকা, শিক্ষামূলক ম্যাগাজিন, মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক বই, বঙ্গবন্ধুর জীবনী, বিজ্ঞান চর্চার বই, স্মৃতি রোমন্থনমূলক বই, দেশবরেণ্য লেখকদের লেখা গল্প, নাটক ও উপন্যাস। সরজমিন দেখা গেছে, এলাকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও নানা বয়সের প্রায় অর্ধশত মানুষ পাঠাগারে কম্পিউটার শিখছেন, বই ও পত্রিকা পড়ছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করছেন। জ্ঞানপিপাসুদের কাছে চাঁনবরু স্মৃতি পাঠাগারটি এখন মুক্তচিন্তার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, অজোপাড়া গাঁয়ে শিক্ষার আলো প্রসারিত করতে এই উদ্যোগ বিরল। প্রবীণ শিক্ষক ও সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মিয়া বলেন, বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য গল্প আর পত্রিকা পড়ার সুযোগ করে দেয়া এক বড় পাওয়া। বাউফল সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, পাঠাগারটি উপজেলার জ্ঞানচর্চার প্রাণকেন্দ্র হবে। সোনামুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং পাঠাগার পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সবুর খানের এ উদ্যোগ প্রসংশনীয়। বর্তমানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠাগারটি বাতিঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সবুর খান বলেন, শিক্ষা জীবনেই মনে মনে পরিকল্পনা করেছিলাম গ্রামের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে একটি যুগোপযোগী পাঠাগার গড়ে তোলার। মহান আল্লাহর রহমতে আজ সেটা বাস্তব রূপ নিয়েছে। পাঠাগারটি আরো উন্নত করতে পরিকল্পনা রয়েছে। চেষ্টা করে যাব সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়