নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি

আগের সংবাদ

অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার : অভিযানে বন্ধ অনেক প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলন : যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের শীর্ষ পদে চান কর্মীরা

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন দীর্ঘদিন দলের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা নেতাকর্মীরাও। আগামীকাল রবিবার হাটহাজারী পার্বতী স্কুল মাঠে উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এদিকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে কারা আসছেন- তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
শেষ মুহূর্তে এসে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা লবিং-তদবির করছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে। আবার কেউ কেউ ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে। তবে দলটির কেন্দ্রীয় সূত্র জানায়, যোগ্যতায় যারা এগিয়ে থাকবেন- তারাই শীর্ষ পদ পাবেন। সেক্ষেত্রে সাংগঠনিক দক্ষতা এবং দলের প্রতি নিবেদিতরাই পদে আসবেন। বিতর্কিতরা কোনোভাবেই যেন পদে আসতে না পারেন, সেবিষয়ে সজাগ রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
২০০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর উত্তর জেলা যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল। এতে সৈয়দ মফিজ উদ্দীন আহম্মদকে সভাপতি, এস এম শফিউল আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। তিন বছরের জন্য এই কমিটি করা হলেও ১৯ বছরেও সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করা হয়নি। ব্যক্তিগত কারণে সভাপতি সৈয়দ মফিজ উদ্দীন আহম্মদ পদত্যাগ করলে কয়েক বছর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সহসভাপতি জাফর আলম। ২০১৩ সালের দিকে ওমর ফারুক যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সহসভাপতি এস এম আল মামুনকে সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে পুরনো কমিটি বহাল রাখা হয়।
দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় একপ্রকার হতাশ হয়ে পড়েছিলেন উত্তর জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। পদপ্রত্যাশীসহ মাঠপর্যায়ের

নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভও বিরাজ করছিল। তবে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে নতুনভাবে চাঙ্গা হয়েছেন ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরা। নতুন কমিটি গঠনকল্পে ২৬ মার্চ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়। এতে সভাপতি পদের জন্য ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ২২ জনের আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিভিন্ন জনের নাম শোনা যাচ্ছে। সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বপন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক নাছির হায়দার বাবুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গোলাম কিবরিয়া, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজিবুল আহসান সুমন, নুরুল মোস্তফা মানিক এবং ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আবুল বশর।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনা এগিয়ে রয়েছেন উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স›দ্বীপ মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান। এছাড়া উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তৈয়ব, চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, এস এম আল নোমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. সাহেদ সরওয়ার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও সিটি কলেজের সাবেক ভিপি রাশেদ খা মেনন, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ দোহা সিকদার আরজু আলোচনায় রয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, অত্যন্ত কঠিন ও দুঃসময়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগে এসেছিলাম, সেই থেকে আজ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন থেকে একদিনের জন্যও দূরে সরে থাকিনি। সংগঠনকে গতিশীল করতে কাজ করে গেছি। জীবনবাজি রেখে আজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। উত্তর চট্টগ্রামের যুবলীগের নেতাকর্মীরা অবগত আছেন। আজ মানবিক যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক এবং দায়িত্বশীল নেতাদের যে মানবিক কাজগুলোকে অনুসরণ করে আমিও মানুষের কল্যাণে এবং মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে সব অপশক্তিকে রুখে দিয়ে প্রিয় নেত্রীকে পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনে এই বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকব। ত্যাগ কর্মকে অবশ্যই যুবলীগ মূল্যায়ন করবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।
সভাপতি পদপ্রত্যাশী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজিবুল আহসান সুমন বলেন, আজকের যুবলীগ সব অনৈতিক ও অপরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অবদমন করে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে চলেছে। জেলা, উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অসংখ্য মামলায় বারবার গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে জীবনবাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছি। সেটার মূল্যায়ন কেন্দ্রীয় যুবলীগ করবে বলে আশা করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়