মোটরসাইকেলে সার্জেন্ট : ভয়ে পালাতে গিয়ে পথচারীকে চাপা দিলেন অটোচালক

আগের সংবাদ

পি কে কাণ্ডে ভারতেও তোলপাড় : তিন দেশের পাসপোর্ট উদ্ধার, তৃণমূল-বাম দায় ঠেলাঠেলি, তদন্তে যুক্ত হতে পারে সিবিআই

পরের সংবাদ

গোপন শত্রæ ওয়াইফাই

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাউটারের লোকেশন পরিবর্তন করুন : ওয়াইফাই সংযোগের গতি বাড়াতে হলে প্রথমেই আপনাকে রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন বা অবস্থানের মাঝে সমন্বয় রক্ষা করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাউটার বাড়ির ভিতরে আসা ইন্টারনেট তারের খুব কাছাকাছি রাখা হয়ে থাকে। এটা মোটেও উচিত নয়। আবার অনেক সময় রাউটারের অ্যান্টেনার অবস্থান ঠিক করে রাখা হয় না। যে কারণে অ্যান্টেনার থেকে সব দিকে সংকেত পাঠানো এবং রিসিভ করা সম্ভব হয় না। সে কারণে রাউটারকে এমন স্থানে রাখা উচিত, যাতে রাউটারটি সবদিকে সংকেত পাঠাতে পারে অথবা সংকেত রিসিভ করতে পারে।

ওয়্যারলেস রাউটারে উন্নত অ্যান্টেনা যোগ করা : অনেক সময় রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করেও ইন্টারনেটের গতি উন্নত বা বাড়ানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টেনা পরিবর্তন করতে পারেন। রাউটারের চারপাশে যদি অনেক দেওয়াল বা অনেক বাধা থাকে তবে সেক্ষেত্রে একটি এক্সটারনাল অ্যান্টেনা রাউটারের সামনে বা সঠিকভাবে ব্যবহার করে রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন।

ওয়্যারলেস রিপিটার যোগ করুন : ইচ্ছে করলে রাউটারে নেটওয়ার্কের পরিসীমা বাড়ানোর জন্য ওয়্যারলেস রিপিটারের সাহায্য নিতে পারেন। রিপিটার রাউটার এবং সংযুক্ত ডিভাইসের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। কম দামে বাজারে এমন অনেক ভালো ভালো রিপিটার পেয়ে যাবেন।

ব্যাকগ্রাউন্ডের ডেটা ডাউনলোড বন্ধ করা : অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা একাধিক কাজের জন্য ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গতি স্লো হতে পারে। ব্যবহারকারী কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি একাধিক ট্যাব একইসঙ্গে চলতে থাকে তবে ইন্টারনেটের গতি এমনিতেই কমে যাবে। সেক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে হলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বা ট্যাব বন্ধ করতে হবে। তাছাড়াও অনেক সময় ইন্টারনেটের গতি কমে গেলে রাউটারটি রিস্টার্ট দিয়ে নিলেও কাজ হয়।

গোপন শত্রæ ওয়াইফাই : ইন্টারনেটের ব্যবহার অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ইন্টারনেট সংযোগকে একদম হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে তারবিহীন ওয়াইফাই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে রাউটার, মডেম থেকে নির্গত ওয়াইফাই রেডিয়েশন শরীরে বেশকিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
রাউটার এবং মডেম থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ক্ষতিকর তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ নির্গত হয়। বাসা কিংবা অফিসে আমরা ওয়াইফাই রাউটার এবং রাউটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করি। কিন্তু সাধারণত আমরা সেটা বন্ধ করি না। ফলে ২৪ ঘণ্টায় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি নির্গত হতে থাকে। আরেকটি তথ্য হলো, আপনি ওয়্যারলেস রাউটারের যত বেশি কাছাকাছি থাকবেন, আপনার ঝুঁকি ততবেশি।

ওয়াইফাই রেডিয়েশন থেকে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে
– তরঙ্গ রশ্মির ফলে অনিদ্রা ও ঘুম ঘুম ভাব তৈরি হয়।
– শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়।
– মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে, ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে।
– ডিএনএতে ফ্রাগমেন্টেশন ঘটিয়ে পুরুষের শুক্রাণু নষ্ট করে।
– হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
– ওয়াইফাই বিকিরণের ফলে নারীদের কর্মশক্তি কমে যায়।
– শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়