আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যুর মামলায় স্ত্রীর প্রেমিক গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

মন্ত্রীপতœীর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন

পরের সংবাদ

ভিডিও গেম সুস্থতার জন্য ইতিবাচক

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গবেষণায় নিনতেন্দোর ‘অ্যানিমেল ক্রসিং’ ও ইলেকট্রনিক আর্টসের ‘প্লান্টস ভার্সেস জম্বিস’ গেম দুটির প্লেয়ারদের মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়। গেমগুলো উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগীদের নাম না জানিয়ে তারা কতক্ষণ খেলে সে সম্পর্কে গবেষকদের তথ্য সরবরাহ করে। ওই তথ্যগুলো সমীক্ষায় সংযুক্ত করা হয়। সমীক্ষায় খেলোয়াড়রা তাদের সুস্থতা সম্পর্কে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়। সমীক্ষাটিতে গেম দুটি খেলা মোট ৩ হাজার ২৭৪ জন অংশ নেয়। সবার বয়সই ছিল ১৮ বছরের বেশি। নিনতেন্দো কেবল তাদের ‘অ্যানিমেল ক্রসিং: নিউ হরিজনস’ গেমটি খেলার সময়সীমার তথ্য সরবরাহ করে। অন্যদিকে ইলেকট্রনিকস আর্টসের ‘প্লান্টস ভার্সেস জম্বিস: ব্যাটল ফর নেইবারভিল’ ইন-গেমের পারফরম্যান্স সম্পর্কেও কিছু তথ্য জানায়। এর মধ্যে অংশগ্রহণকারীদের অর্জন ও তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করা ইমোগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। সমীক্ষায় তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কেমন অনুভূতি হয়েছিল, সেটাও জিজ্ঞাসা করা হয়। গবেষণার নেতৃত্ব দেয়া অধ্যাপক অ্যান্ড্রæ প্রিজিবিলস্কি সমীক্ষায় ফলাফল দেখে অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, আপনি যদি প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে অ্যানিমেল ক্রসিং গেমটি খেলেন, তাহলে না খেলাদের চেয়ে আপনি সম্ভবত বলবেন যে যথেষ্ট আনন্দিত বোধ করছেন। তবে এর অর্থ এটা নয় যে অ্যানিমেল ক্রসিং নিজেই আপনাকে খুশি করে তোলে। অন্যদিকে ৪০ বছর আগের একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ভিডিও গেমের পেছনে লোকেরা যত বেশি সময় ব্যয় করে তত বেশি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে। এর কারণ হিসেবে গেমের বৈশিষ্ট্যকে দায়ী করা হয়েছে। নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এ দুটি গেমেরই সামাজিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে খেলোয়াড়রা অন্য মানুষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত চরিত্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে। অধ্যাপক প্রিজিবিলস্কি বলেন, আমি মনে করি না যে মানুষ সামাজিক বিষয়গুলোর জন্য গেমগুলোতে এত বেশি সময় ব্যয় করে। যদি না তারা এতে খুশি হয়। তবে যারা এ গেমগুলো খেলতে বাধ্য হয়েছেন; যেমন জীবনের অন্য কোনো দুশ্চিন্তা এড়াতে গেম খেলতে বসা মানুষরা গেমগুলো নিয়ে কম বিষয়বস্তুর কথা জানিয়েছেন। অধ্যাপক অন্যান্য গেম নির্মাতাদের এ ধরনের তথ্যগুলো শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের আরো বেশি গেম, আরো বেশি খেলোয়াড় ও আরো বেশি সময়সীমা নিয়ে অধ্যয়ন করা দরকার। এটা মনোবিজ্ঞানীদের বিশ্বের সমস্ত খেলার মাঠ অধ্যয়ন করার মতো হবে। এর মাধ্যমে আমরা হুমকির তত্ত্ব তৈরি করতে পারি কিংবা লোকেরা কিভাবে নতুন বন্ধুত্ব তৈরি করে, তা শিখতে পারি। বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, বাসায় প্রত্যেক অভিভাবকই বলে থাকেন, শিশুদের ছোট বয়স থেকে মাঠে খেলার অভ্যাস করতে। এর ফলে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক উভয়েরই সঠিক বৃদ্ধি হয়। তবে এখনকার সময়ে শিশুরা মাঠে খেলতে ভুলে গিয়েছে। তারা পড়াশোনার ফাঁকে যেটুকু সময় পায়, তা মোবাইল গেম, ভিডিও গেম প্রভৃতি ইনডোর গেমে মেতে থাকে। অনেকেই মনে করেন, বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার জন্য ইনডোর গেম ভালো নয়। তবে সাম্প্রতিক অন্য একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, শিশুরা ভিডিও গেম খেললে তাদের মধ্যে একাগ্রতা ও মনোযোগ বাড়তে থাকে। অর্থাৎ ভিডিও গেম খেলা শিশু কিংবা যে কোনো বয়সের মানুষের জন্যই ইতিবাচক। বিশ্বজুড়ে এখন ভিডিও গেম বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষ ভিডিও গেম খেলতে পছন্দ করেন। বহু মানুষ আছেন, যারা স্ট্রেস, রাগ, ডিপ্রেশন কমাতে ভিডিও গেম খেলেন। অক্সফোর্ডের গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল তাই বলছে। এছাড়া সা¤প্রতিক আরেক প্রতিবেদনে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে বলা হয়, শিশুদের মধ্যে একাগ্রতা, মনোযোগ বাড়াতে ভিডিও গেম খুবই উপকারী। শিশুর মস্তিষ্ককে বিভিন্ন কাজে সক্রিয় করতেও সাহায্য করে ভিডিও গেম। সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়