ইতিহাসবিদ সুরজিৎ দাশগুপ্তের যুক্তিবাদী ভূমিকা

আগের সংবাদ

সয়াবিন তেলের সংকট ‘কৃত্রিম’ : এখনো বাজারে মিলছে না তেল > সরবরাহকারী-পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা- ত্রিমুখী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ভোক্তা

পরের সংবাদ

আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যুর মামলায় স্ত্রীর প্রেমিক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: মে ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস এলাকায় শেখ সোহেব সাজ্জাদ নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান এক নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রীর প্রেমিক কাজী ফাহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল বিকালে বনানীর ডিওএইচএস মসজিদ গলির ১০৫ নম্বর বাসায় সোহেবের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় ১ মে সোহেবের বড় ভাই শেখ সোহেল সায়াদ আহমেদ ক্যান্টনমেন্ট থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সোহেবের স্ত্রী সাবরিনা শারমিনকে এক নম্বর এবং কাজী ফাহাদকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। সোহেবের পরিবার বলছে, সাবরিনা ও তার প্রেমিক ফাহাদের যোগসাজোশে সোহেবকে মানসিব চাপ প্রয়োগ করে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
মামলার বাদী শেখ সোহেল সায়াদ আহমেদ মামলায় উল্লেখ করেন, শেখ সোহেব সাজ্জাদ আমেরিকান নাগরিক। তিনি ২০১৭ সালে সাবরিনা শারমিনকে আমেরিকায় বিয়ে করেন। পুরান ঢাকার ওয়ারী থানার ১৯/১ ওয়ারস্ট্রিট রোডের স্থায়ী বাসিন্দা সোহেব। ২০১৮ সালের মে মাসে সোহেবকে আমেরিকায় রেখে সাবরিনা দেশে চলে আসেন এবং সোহেবের বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখানে থাকার সময় পাশের বাড়ির কাজী ফাহাদের সঙ্গে সাবরিনার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ফাহাদ প্রায়ই সাবরিনার ফ্ল্যাটে আসত। এ বিষয় নিয়ে সোহেবের সঙ্গে সাবরিনার কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়।
ফাহাদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রায়ই সোহেবের সঙ্গে ঝগড়া করত সাবরিনা। ১৬ মার্চ আমেরিকা থেকে সোহেব ঢাকায় চলে আসে। পরে শ্বশুর শাখাওয়াত হোসেনের বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় স্ত্রী সাবরিনাকে নিয়ে অবস্থান করেন। সাবরিনা কৌশলে সোহেবের আমেরিকান পাসপোর্ট ও আইফোন-১১ নিজ হেফাজতে নিয়ে নেন এবং তাকে মানসিক চাপে রাখেন। বারবার চাওয়ার পরও এগুলো ফেরত না দিয়ে ১৫ এপ্রিল সোহেবকে তার বাবা শাখাওয়াতের বাসায় রেখেই সাবরিনা চলে যায়। ফাহাদ ও সাবরিনার কাছে বারবার পাসপোর্ট ও মোবাইল ফেরত চাওয়া হলেও তারা দেয়নি। এতে সোহেব মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং ৩০ এপ্রিল বিকালে সোহেব আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে মামলার বাদী শেখ সোহেল সায়াদ আহমেদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ২ নম্বর আসামি কাজী ফাহাদকে গতকাল শুক্রবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সোহেবের মৃত্যুর বিষয়ে ন্যায়বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, সোহেবের মৃত্যুর ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার দুই নম্বর আসামি কাজী ফাহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া মামলার এক নম্বর আসামি সোহেবের স্ত্রী সাবরিনাকে ধরতে অভিযান চলছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই শ্যামল আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার কাজী ফাহাদ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে। আগামীকাল (আজ) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়