করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বেইজিংয়ে ফের স্কুল বন্ধ

আগের সংবাদ

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৯ দফা নির্দেশনা : ঝুঁকি মোকাবিলায় নজরদারিতে চাকরিচ্যুত পুলিশরা

পরের সংবাদ

ভবেন বৈদ্যের অসার জীবন

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একটা ছাওয়া ফোড়বার মারবার পালুনা তার আরো ইয়ার্কি মারাইস! হঠাৎ ফুটো হওয়া বেলুনের মতো চুপসে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল প্রস্তরমূর্তির মতো। অনেক দিন পর অপ্রত্যাশিত এমন ঠাট্টাত্তর! সমস্ত পৃথিবী যেন অন্ধকারে ছেয়ে এলো দুচোখজুড়ে! কল্পনা শক্তিও যেন থমকে গেছে কোনো জমাট বাঁধা বরফে!
খেতে ডাকতে আসা ছেলে বউ মুখে কাপড় গুঁজে দ্রুত পায়ে চলে গেল অন্দরে। উত্তর দেয়া অনেকটা কাছের লোকটি আহাম্মক বনে গেল কিনা, বোঝা গেল না। তবে পান খাওয়া খয়েরি কালোয় ঢাকা দাঁত বের করে হাসিটা দেখেছে কথোপকথনের সময়। সেকি আছে, না চলে গেছে! নড়বার শক্তি হারাবার সাথে সাথে জুড়ে আসা অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারছে না সে।
স্ত্রী হন হন করে বলতে বলতে এলো- কটে গো, ভাতত যে মাচি পড়ব্যার নাগছে! উত্তর না পেয়ে জোর দিয়ে বলল- আউ, আইসো তার-
ভবেন বৈদ্য কখন যে বসে পড়েছেন! মাথা নিচুই আছে।
স্ত্রীর চায় এইসব ডাকাডাকিতে স্বামীরা যেন সাথে সাথে সায় দেয়। ভবেন বৈদ্যরও তো তেমনই দেখেছেন। তবে ব্যতিক্রম যদি ঘটে তার জন্য মাশুল গুনতে হয় অভিমান ভাঙানো পর্যন্ত।
স্ত্রীর রাগ বাড়ছে- শোনে না মানে! ক্যা গো, কানত ঢোকে না! ভাত গুলাত যে মাচি পড়ে? বৈদ্যের নিরুত্তরে কাছে এসেই থমকে যায় সে। অবাক চোখে তাকায়!
ভবেন বৈদ্য সম্বিৎ ফিরে পান যখন স্ত্রী তার কাঁধ ঝাঁকাতে থাকে। স্বামীর চমকিত জেগে ওঠায় বলে ওঠে, ক্যা গো, শরীল খারাপ কচ্চে নাকি? কৌতূহলে গালে কপালে হাত বুলাতে বুলাতে শাসনের সুরে বলে, কতবার কই, ডাক্তার দ্যাখান গো, ডাক্তার দ্যাখান! তাক নোয়ায়। ওমরা সেটা কইবে সেইট্যায়। জেদ-
ধুর, সর তো, চ্যাটের ফ্যাদলা জুড়ি আচছিস? ভবেন বৈদ্য খড়ি চটকানোর মতো স্ত্রীর হাত ঝাড়া দিয়ে ঠেলে দিলেন।
ভাতগুলা যে মাচি খায়! স্ত্রীর কথায় উত্তর দিলেন- খায় না। স্ত্রী কৌতূহলী স্বরে জানতে চাইলো- বউ ক্যানা ঘুরি যায়া ফোঁপাতে ফোঁপাতে ঘরত ঢুকিল। কিছু হইচে নাকি? চটিয়ে উঠে বৈদ্য চিৎকার করে, গেলু এটে থাকি! স্ত্রীও ফর ফর করে স্বামীর এমন আচরণে (কী করেন কর) অস্ফুটো বিড় বিড় করা শব্দে চলে যায় অন্দরে। বৈদ্য উঠলেন। কথোপকথনের লোকটাকে খুঁজলেন। অবশ্য লোকটির চলতি পথে তার সাথে কথা হচ্ছিল। তাই তাকে আর পাওয়া গেল না। জায়গাটা থেকে পা বাড়ালেন। পরিচিত ছোট্ট চা দোকানে চায়ের কথা বলে ধপ করে বসে পড়লেন। ভেতরটাতে কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো মোচর দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙেচুরে তোলপার তুলছে। ডুকরে যদি কাঁদতে পারত!
ছোটবেলাতেই পিতা ছেড়ে যান পরপারে। দিশাহীন মায়ের কোলে বড় হওয়া ভবেনকে মায়েই পছন্দ করে বিয়ে দেন। কোথায় দুর্গাপূজার আরতি হবে? কোথায় নাটকের অভিনয় হবে? কোথায় ফুটবল খেলা হবে? এসবে উৎসুক্য সংসার উদাসীন ছেলেটাকে বাগে রাখতে একটু তাড়াতাড়িই বিয়ের আসরে বসান মা।
দুই বছর সন্তান নেবেন না ভবেন দম্পতি। নতুন জীবনের একটা স্বাদ আছে না!
আবেগ আনন্দে দুই বছর যে কোন দিক দিয়ে চলে যায়! মনের মাঝে উঁকি দেয় ঘরের শোভা বাড়ানোর উপাদানের আকাক্সক্ষায়! ঘর জঠরেও আসুক নতুন অস্তিত্ব!
দিন গেলেও নতুন অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। শাশুড়ির ইঙ্গিতীয় জিজ্ঞাসা- নাতি-নাতনির মুখ দেইখে চলি যাবার চাই! ছইল-পইল না হলে ঘর-বাড়ি যে শ্মশান নাগে গো! আশপাশের কেউ কেউ এ ব্যাপারে বলা শুরু করে। দু-একজন ননদ বা জা সম্পর্কীয় তাদের কেউ কেউ নিত্যদিনে খোঁজ-খবর রাখছে। অঙ্গ ভঙ্গিমার দ্বারাও কেউ কেউ বলে, কী, টোয়া টোয়া! কী বলবে বউ! অনেক সময় হেসেই সব উত্তর দিয়ে দেয়। তবে ঘরে গেলে বিছানায় বসলে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে! আরো এক বছর যায়। শাশুড়ির সরাসরি খোঁটামারা কথা শুরু হয়। সামনে যে মহাদেবের বিগ্রহ মণ্ডপ সেখানে নিত্য পূজা মানসা চলে স্ত্রীর। শাশুড়ির তবুও খোঁটা- একনা উপাস-কাপাস ধরি মানতি করবে, তাক নোয়ায়, খালি উড়াং পাড়াং! একদিন তিনি একটা তাবিজ এনে চটকা দিলেন বউয়ের হাতে। বললেন, এই যে ধরো, ডাইন হাতের ডেনাত বান্দো আর শনিবার মঙ্গলবার জলত চুগ্গিয়া অভিনয়ে দেখিয়ে অনেকটা চাপা স্বরে বলেন, সেই জল খালি পেটে বিয়ানা খাইবেন। যেতে ধরে বিড় বিড় করে বলেন, অপয়ার যদি ঘাট নাগে। মেঘপূর্ণ আকাশে বাজ ডাকলে যেমন হয় তেমনি অপয়া খোঁটাতে বিদ্যুৎ খেলে যায়। ছয় মাস চলে তাবিজের। বাকি ছয় মাস চলে শুভাকাক্সিক্ষ আর কুটনিকারীর পরামর্শ মতো।
শাশুড়ির খোঁটা দেয়া তীব্রতায় রূপ নিল। কখনো কখনো তা তিক্ততায় পেয়ে বসে। ভবেন বৈদ্যকে কেমন যেন মনে হতে থাকে! ঘর ভালো লাগে না। কাজ ভালো লাগে না। স্ত্রীকেও কেমন যেন লাগতে থাকে! তার কথা, তার কাছে আসা, চরম বিরক্ত লাগতে থাকে। সাথে নিয়ে কোথাও যাওয়া- বেড়ানো- পূজোর মেলাতে যাওয়া- উৎসাহে ভাটা পড়ে। তাকালেও মন যেতে চায় না। বিছানায় স্ত্রী কাছে ঘেঁষলে অস্থির অস্থির লাগে! তবে মায়ের খোঁটা কখনো কখনো ভবেন বৈদ্যকেও খারাপ লাগে না তা নয়। ইচ্ছা হয়, স্ত্রীকে কাছে ডেকে বুকে নিয়ে থাকি। তাতে ভরসা পাবে সে অনেকখানি! কিন্তু হয়ে ওঠে না মনের অসারতায়। কিন্তু সে প্রত্যাশা করে। অনেক দিন চোখের জল দেখেছে স্ত্রীর। মুখে যে স্বস্তির চিহ্ন হ্রাস পেয়েছে! ঠিক যেন তালাবদ্ধ সিন্দুকের মতো। স্বজন কটুনিদের কটূক্তি, শাশুড়ির তিক্ত খোঁটা অসহ্য হয়ে উঠলে একটুকু স্বস্তি পেতে বাপের বাড়ি যায়। তবে সেখানে মায়ের খোঁটা নেই কিন্তু নৈরাশ্যতা আছে। মনের শূন্যতার বেদনা মুখে আর চোখ দিয়ে বেরোয় তার। কোথায় যায়! ডাক্তার দেখানো হলো। ওষুধপত্র দিয়ে আশ্বাস দিলেন। পেরোলো আরো এক বছর। হতাশা আর নৈরাশের বরফ জমাট বেঁধে বেঁধে ভারী হতে থাকে বুক।
বড় অসহায় বোধ হয় ভবেন বৈদ্যের। সব যেন আলগা আলগা ঠেকে। অসারে পূর্ণ শরীরময়। সবাই যেন দূরের কেউ! আপন করে রয় না কিছুই। এর মাঝেই একদিন ঝাঁকুনি খেল ভবেন বৈদ্য। একান্তে পেয়ে একদিন স্ত্রী পাথর চাপা বুকে হাসির অভিনয় ভরা মুখে বলল, তুমি না হয় একটা বিয়ে কর। কিছুই বলতে পারে না বৈদ্য। সাজনাতলায় হাতে হাত বেঁধে একে অপরকে আপন করে নিয়ে মায়ায় মায়ায় গড়া বন্ধন কি সায় দেবে!
হঠাৎ করেই একদিন কোলে এলো দুদিনের এক পুত্র শিশু। এলো কোমড়ের শিকা কেটে জন্মদাত্রী জন্মদাতা বাবা-মায়ের থেকে পালক পিতা-মাতার কাছে। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতো। তাও আবার সম্পন্ন হলো পাশের বাড়ি জেঠি শাশুড়ির মাধ্যমে।
একদিকে শূন্যতার মাঝে কিছু পাওয়ার আনন্দ, অন্যদিকে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা মায়ার বন্ধন-ভালোবাসা-আদর-স্নেহের গাঢ়ত্বতা!
তাতে কী সব হয়ে যায়? শাশুড়ির ব্যঙ্গক্তি আর খোঁটার ভাষায়ও নতুনত্ব আসে। কুটনি জনরাও তো সুযোগ পেলে ছাড়ে না- মাইনষের ছাওয়া তার আরো কতা!
ভবেন বৈদ্যকেও কি কম শুনতে হয়েছে! নপুংশক-কাপুরুষ-খোঁজা কত কী! বিয়ের পরেও সে কি দুর্গাপূজার আরতি করা বন্ধ করেছিল? করেওনি। আরো করছে। আর এই আরতির মাধ্যমে মাকে আবেদন করেছে একটা সন্তান দাও। বাড়ির সামনের মহাদেব বিগ্রহের বৎসরের কিংবা বিশেষ সময়ে যেদিন বিশেষ অনুষ্ঠান হয় সেদিন কি ওখানে অংশ নেননি? মনে মনে কি আবেদন করেননি? এক মাজারেও মোমবাতি জ¦ালিয়ে মানত করেছিল সে।
তবু জানাজানির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা পায় তাদের সন্তান। এক সময় হয়ে ওঠে গা সওয়া। কিন্তু কোথায় তবুও একটা অপূর্ণতা থেকে যায় স্বামী-স্ত্রী মাঝে!
বাবা ডাকে, মা ডাকে শূন্যতা ভরিয়ে তুললেও কখনো কখনো তা শুকনো খাবারের গলধকরণের মতো লাগে! যাতে গিলতে জোর লাগে। স্বপ্ন দেখলেও পরভাবনাটা কখনো হিক্কা হয়ে ওঠে। কেননা, সেখানেও ভালো করলে কিংবা খারাপ করলে খোঁটা যেতে হয়। কটূক্তি-ব্যঙ্গক্তি পিছু ছাড়ে না। সংসার চালানোর জন্য সে ছোট ব্যবসা পেতেছিলেন তাতেও এক সময় মন উচাটনে পড়ে। তবে কে যেন বলতে থাকে- কী হবে এসব করে! কার জন্য করা! তবুও করে যায়। সংসারের আড়ম্বরতা কিংবা সচ্ছলতার উজ্জ্বলতা কী-ই বা দরকার? কেন হবে পালিত সন্তানের জন্য কিছু করা? তার কোন ইতিবাচক বা নেতিবাচক উত্তর ভেতর থেকে আসে না। মানুষের সাথে দুটো ভালো-মন্দ কথা বলা যায় না, জোর করে অধিকারের কথাও বলা যায় না সমাজে। ধর্মতলায়ও উঁচু-নিচু তেমন কিছু বলা যায় না। বললেই প্রত্যুত্তর আসে ঠাট্টার ছলে কখনো বা, ধুর, আঁটকুড়াটা কী জানে?
পালিত সন্তান বড় হতে থাকে। সমাজের কারো কারো দায়িত্ব যেন গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়া! অজানার মাঝে যে শান্তি তৃপ্তি থাকে তা জানানো যেন গায়ে দায়িত্ব পরে তাদের। যে যেমন করে থেকে শান্তি পায় তা কেউ কেউ যেন মেনে নিতে নারাজ। তাইতো পালিত সন্তান একদিন জেনে ফেলে এরা তার জন্মদাতা বাবা-মা নন। নির্ভরতার মাঝে একটা ফাটল সৃষ্টি হয়। দূরত্ব বাড়তে থাকে উভয়ের মাঝে। টের পায় ভবেন বৈদ্য দম্পতি। কিন্তু নাড়ির বন্ধন না থাকলেও মায়ার বন্ধন যে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে!
ভবেন বৈদ্যের মা হঠাৎ যেদিন মারা যান কেন জানি তার দুদিন আগে পালিত সন্তানকে কাছে ডেকে বুকে নিয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করতে থাকে মাথা ঘাড় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে। চোখের জল মুছতে মুছতে বলে, দাদা, তোর মাও বাপক দেখিস ভাইয়ো। ওমার পাত্থর চাপা দুঃক্ক তোক দেখি ভুলি থাকে ভাইয়া।
কিন্তু ভাঙা মন কি জোড়া লাগে! আটা দিয়ে তবু জোড়া লাগাবার চেষ্টা মাত্র করতেই হয়। বিদ্যালয়ে পড়াকালীন নিকট ছাত্রছাত্রীর ফিসফিসানি যেদিন কানে পড়ল যে, সে পালক পুত্র, সেদিন ভবিষ্যৎ স্বপ্নে ঘোলা লাগে। ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যেতে থাকে ভবিষ্যৎ রঙিন আঙিনা। ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য পড়াতে যে একাগ্রতা-অধ্যয়বসায়তা তাতে বাঁধন আলগা হতে থাকে। উদাসীনতা-অবাধ্যতা পেয়ে বসে। কে আমার! কী আমার! কে যেন বলতে থাকে ভেতরে! বলতে বলতে তা কাঁটা হয়ে খোঁটাও মারে নিত্য। কিন্তু এর পরিত্রাণে কী করবে? বলতে পারে না সে।
এক সময় মা-বাবা ডাক আপন হয়ে বেরোয় না ছেলেটির। অথচ এই ডাকটা শোনার জন্য কী উন্মুখতা দুজনার! আর কালে ভদ্রে ডাকলেও সেটাতে আগের মতো প্রাণ কই! তবুও পথ চলা।
সন্তানের বিয়েটাতেও কী কম ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়েছে! সমাজের মুখ-কান-চোখ যে অগণিত! তাইতো বিয়ে সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কত যে কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়েছে! আর যখন বউটি জানতে পারল তখন থেকে বাঁকা কথা তো কম শুনতে হয়নি। সন্তান এবং তাদেরকেও।
ভবেন বৈদ্যকে আজো সংসারের ঘানি টানতে হয়। সন্তান কখনো মন চাইলে কিছু করে, না চাইলে বসে থাকা। ধর্মতলায় যান ইহকাল-পরকালের জন্য কিছু চাইতে নয়; সময় কাটানো-ভালো লাগা-সামাজিকতা, এই! মনে মনে বলে, কি-ই বা চাওয়ার আছে! দেবার হাত তো দেখিনি আমার প্রতি!
আরে, ও দাদা ঘুমাইছেন বুঝি! অন্যদিকে মন নিবিষ্ট থাকা চাওয়ালার আচানক ডাকে সম্বিৎ পেয়ে নিজেকে ঝাঁকুনি দিয়ে না না ঘুম নোয়ায় বলে চা কাপ হাতে নিলেন ভবেন বৈদ্য। তাড়াতাড়ি কাপ ঠোঁটে ছোঁয়ালেন। পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়েছে সে চা। একবার ভাবলেন, বলে নতুন করে বানিয়ে নেই! পরক্ষণে ভাবলেন, থাক। কী আর বিস্বাদ লাগছে? নিজের জীবনের চেয়ে কী আরো বিস্বাদ!
খালি হওয়া কাপ নিতে নিতে দোকানি বলল, দাদা খুব চিন্তিত বুঝি? জোর করে তৈরি করা হাসি দিয়ে বৈদ্য বলল, না না ভাইয়া বলে চায়ের দাম মিটিয়ে দিয়ে চললেন তিনি। তবে বাড়িতে নয়। একটু স্বস্তি খুঁজতে অন্যখানে-

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়