বিশ সালের মুদ্রিত ডায়েরির সাথে চলমান অমিলগুলো
কোথাও কোনো পাথরে বা পাহাড়ের গায়ে খোদাইয়ের
খুব বেশি প্রয়োজন। সময়ের ব্যবধানে মানুষ খুঁজে নিবে
এই অমিলগুলো- লিপিবব্ধ অক্ষর থেকে খুঁজে নিবে
গুচ্ছ কঙ্কালের নমুনা।

মানুষ জেনে নেবে- মানুষ মানুষের কতটা পর অথবা কাছের
বুঝে নেবে এই মরদেহ কোনো মহামারিকালের। আশপাশ
থেকে খোঁজে নেবে পরিবার-পরিজনের দাঁত, হাঁড়গুড়
ডিএনএ’র জন্য অমীমাংসিত নমুনা, ক্ষতচিহ্ন, দাগ।

মানুষ বুঝে নেবে মৃত্যুই সত্য ছিলো যুগে যুগে। আর
ভয়। ভয় ছিলো পুঁজির খোরাক। ভয় ছিলো কতোটা
ভয়ের, কতোটা কষ্টের, আতঙ্কের।
ভয়ে মানুষের চোখগুলো কতোটা ঘোলাটে হয় তাও
জেনে নেবে আজ থেকে যুগ যুগ পরে- কাগুজেলিপি পড়ে
মৃত্যু মৃত্যু খবর; ভয় চারদিকে- দেশে দেশে।
ভয়ে ভয়ে নিঃসঙ্গ মৃত্যুর সাথে ঘুম, জীবনের ঘুম
মানুষের যে ঘুম স্বজনের স্পর্শবিহীন, এ অমিলগুলো
লিখে রাখি পাথরে, পাহাড়ে, সময়ের গায়ে অথবা
নামহীন কোনো কবিতায়, মরুভূমির মতো ক্যালেন্ডারের
কোনো পাতায়- বিশ্বের বিষণ্ন এই অধ্যায়।

বিষণ্ন এই অধ্যায়- দুই

এই আমরা বাদে তারা সব মিলে গেছে। দেখো তাদের
কেমন কোলাহল। আমাদের পিছু নিয়েছে যম
শুধু আমরাই বেশি বললে জেঁকে ধরবে এমন-
আমাদের কতো দোষ। শুধুই দোষ

তারা উড়াল দেয়
তারা ডুবে যায়
সুখে রাখে ঠোঁটে ঠোঁট। বিজলী চমক
ধেয়ে আসে ঝড়
সব হয়ে উঠে নড়বড়
দুঃখ- কানের কাছে বাজে মৃত্যু-ধমক

আমাদের কেউ নেয় না- শাসনের মাঝেই আছি।
মানব শাসন। থাকি- রাখি গায়ে তাদের বাকল পেঁচিয়ে।
লতায়-পাতায়। হয়তো জিতে যাবো।

তোমাদের মাঝে ফুটুক ফুল। সবুজে ডানা মেলুক শাখায় শাখায়
আমরা গন্ধ মাখি। শুধরে নিই নিজেকে, জীবনের যা ভুল টালিখাতায়
আকাশের নীল মলিন না হোক কলের ধোঁয়ায়
জল থেকে ছেকে তুলি লোহারগুড়ো- আপাতত দূরেই রাখি
তোমা থেকে আমায়।

আমাদের লজ্জা ঢাকুক তোমাদের রঙে। তোমরা যারা মিলে গেছো
তোমাদের রঙে ছন্দ লাগুক আরো; তোমাদের অস্ফুট জামায়।