রবোটিক রুটিনে যান্ত্রিক ভালোবাসার রসনা রোচক চাকচিক্যে প্লেটে তুলে দাও একখণ্ড বৈদেশিক ঈদ,
চোখের চাতালে ত্বরিত জমতে থাকে ঘন বরষার শ্রাবণ,
সেখান থেকে অঝোর ধারায় নামতে থাকে মায়ের পিঠাপুলি সেমাই এর সুঘ্রাণ,
সুগন্ধি কালিজিরা চালের বিরিয়ানী,
ডিমওয়ালা মুরগির ধুমায়িত সুরুয়া,
খাসির কোরমা, গরুর মাংসের কালিয়া।
প্রতিবারের মতো বাবার দেয়া পছন্দের ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি,
কুশিকাঁটায় বুনা আল্লাহু খচিত মায়ের হাতের টুপি,
ভাই বোন প্রিয় স্বজনদের উচ্ছ¡াস।
লালকুঠিতে সিনেমার টিকেটের সুদীর্ঘ লাইন,
দরগা মসজিদে প্রথম সারিতে বিছানো ঈদের নামাজ পড়ার নক্সি আঁকা জায়নামাজ,
আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, ভার্থখলা, টিলাগড়, আকালি, রিক্সায় অকারণ শহর চষা,
ঈদি সংগ্রহ নতুন পোশাক ঈদ উপহার।
চিত্তে চিতার দহন, হদয়ের কার্ণিসে প্লাবন থৈ থৈ অবেগী জল।
পরিযায়ী পাখি আমরা যন্ত্রের মানুষ!
যদিও এখানকার হাইব্রিড সংস্কৃতিতে আমদানি কৃত চাঁনরাত ধারণায় নিশাচর নর নারী মেতে উঠে নৈশ প্রমেদে।
পরিযায়ী পাখিদের কোনো ঈদ থাকতে নেই না কোনো উৎসব!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।