৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ : ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

রাজনীতির উত্তাপ অপরাধ জগতে

পরের সংবাদ

বাইরের হাসপাতালও প্রস্তুত : রাজধানীর ৫ স্পটে কলেরার টিকা আগামী মাসে

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে ডায়রিয়ার যে প্রকোপ, তা মূলত ঢাকা মহানগরকেন্দ্রিক। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকা থেকে হাসপাতালগুলোয় পানিবাহিত ডায়রিয়া রোগী বেশি আসছে। এসব এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে কলেরা টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রাজধানীর পাঁচটি এলাকাকে হটস্পট বিবেচনা করে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে আগামী মাসে।
গতকাল বুধবার ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ) ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, পরিচালক (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগ এলাকায় মুখে খাওয়ার কলেরা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। আগামী মাসে এসব এলাকায় ২৩ লাখ মানুষকে এ টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। আর পরের মাসে দেয়া হবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ। তবে এ টিকার বাইরে থাকবে এক বছরের কম বয়সী শিশু ও গর্ভবতী নারীরা।
টিকা গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রমটি নিয়ে আমরা এখনো কাজ করছি। এই টিকা নিতে আলাদা কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট তারিখ ও কেন্দ্র বাছাই হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। নিকটস্থ কেন্দ্রে গেলেই টিকা নেয়া যাবে।
কলেরার এই টিকা সারাদেশে কেন দেয়া হবে না এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডা. নাজমুল বলেন, সারা বিশ্বেই টিকার এখন খুব সংকট। নাইজেরিয়া থেকে টিকা কেটে আমাদের দেয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মার্চে সারাদেশে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৩৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতে আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ হাজার ৯১২ জন।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) বা কলেরা হাসপাতালের তথ্য বলছে, ডায়রিয়ায় এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আইসিডিডিআর,বিতেই মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে ৪ জন। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর তথ্যই পেয়েছি। আইসিডিডিআর,বি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। তারা আমাদের কাছে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সেই তথ্য হস্তান্তর করেনি। করলে আমরা সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখব।
ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ডায়রিয়া প্রকোপ রোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। কেউ ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে খাবার স্যালাইন খাওয়ার পাশাপাশি নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। জেলা-উপজেলাসহ আমাদের প্রতিটি হাসপাতালই প্রস্তুত রয়েছে। আইসিডিডিআর,বিতেই কেন রোগীরা ভিড় করছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডায়রিয়া হলেই আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালটির নাম মাথায় চলে আসে। কারণ এই হাসপাতালটির আগে নাম ছিল কলেরা হাসপাতাল। এই কারণেই মানুষ হাসপাতালটিতে এসে ভিড় জমাচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রতিটি হাসপাতালই ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়