আইনমন্ত্রী : মানবপাচার রোধে সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক চাপ এড়ানোর কৌশল! রোহিঙ্গাফেরাতে নেপিদোর নাটকীয় চিঠি > আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন, ঢাকার অসন্তোষ

পরের সংবাদ

সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তন : ২১ থেকে ২৫ মার্চ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বিক্রি বন্ধ

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তন এবং নতুন কোম্পানির দায়িত্ব নেয়ার জটিলতায় আগামী ২১ থেকে ২৫ মার্চ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকবে। তবে ওই পাঁচ দিন স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
গতকাল সোমবার রেলভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রির সময় কয়েক দিন কোনো কোটা বা আসন সংরক্ষণ করা হবে না। অর্থাৎ সবার জন্য টিকেট উন্মুক্ত থাকবে। এখন যাত্রার তারিখের পাঁচ দিন আগে অগ্রিম টিকেট কাটার সুযোগ আছে। তবে অনলাইনে টিকেট বিক্রি বন্ধের সময়টায় যাত্রীর দুদিন আগে আগাম টিকেট কেনার সুযোগ মিলবে।
এতদিন রেলের কম্পিউটারাইজড টিকেটিংয়ের কাজটি করে আসছিল সিএনএস নামের একটি কোম্পানি। এখন সেই কাজ পেয়েছে সহজ ডটকম, সিনেসিস ও ভিনসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই তিন কোম্পানির সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ২০ মার্চ পর্যন্ত সিএনএস রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং পরিচালনা করবে। পরে ৭৭টি স্টেশনে এ কাজের দায়িত্ব বুঝে নেবে সহজ, সিনেসিস, ও ভিনসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার। সেজন্য সিস্টেম হালনাগাদ করতে অন্তত পাঁচ দিন সময় লাগবে। এই দিনগুলোতে কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি করে ২৬ মার্চ থেকে নতুন ব্যবস্থাপনায় আবার কম্পিউটারাইজড টিকেটিং চালু হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মানুষকে আরো ভালো সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ টিকেট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনা ও সহজলভ্য করাই মূল লক্ষ্য। মন্ত্রী জানান, চুক্তি অনুযায়ী সহজ, সিনেসিস ও ভিনসেনের জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রাথমিকভাবে বিদ্যমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে তা বিআরআইটিএস সিস্টেমে প্রতিস্থাপিত হবে। রেলওয়ের অনলাইনে টিকেট বিক্রির নিজস্ব সক্ষমতা এখনো গড়ে না ওঠায় বেসরকারি কোম্পানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত টিকেটিং চালু করা হয় ১৯৯৪ সালে। শুরুর দিকে দেশের ২৭ স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকেট ইস্যু করা হতো। এখন ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট ইস্যু করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার এবং মাসে ২৭ লাখ যাত্রীর টিকেট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়