রকেট হামলায় নিহত হাদিসুরের মরদেহ আসছে আজ

আগের সংবাদ

‘তড়িঘড়ি কেউ ইইউ সদস্য হতে পারে না’ : জেলেনস্কির আশার গুড়ে বালি

পরের সংবাদ

গণসংহতির নিবন্ধন : আদালত অবমাননার রুল সিইসির বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন না দেয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে আদালত অবমাননার অভিযোগে সিইসির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে রায় দেয়া হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে এ আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, এর মধ্যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হয়। পরে নতুন সিইসি নিয়োগ পান। তাই আবেদন সংশোধন করে নতুন সিইসিকে বিবাদী করা হয়।
জানা যায়, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। পরের বছর ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন দেয়া যাবে না মর্মে অবহিত করে দলটিকে একটি নোটিস পাঠান।
পরে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রায় দেন। রায়ে আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে নিবন্ধন দেয়ার আইনগত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়। কিন্তু আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর বিভিন্ন সময় এই রাজনৈতিক দলের পক্ষে যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠানো হয়। নোটিস প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে জোনায়েদ সাকি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়