ভাঙাড়ির দোকানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, মালিকসহ দগ্ধ ৫

আগের সংবাদ

যুদ্ধের বাজারেও সিন্ডিকেট! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে অসাধু চক্র > বাজারে সরকারের মনিটরিং দুর্বল

পরের সংবাদ

যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ শতকের শুরুতে বাঙালি নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘স্বামীরা যখন পৃথিবী থেকে মঙ্গল বা গ্রহ-নক্ষত্রের দূরত্ব মাপায় ব্যস্ত, স্ত্রী তখন বালিশের কভার মাপেন।’
এক শতকেরও কম সময়ের ব্যবধানে অবস্থার বিস্ময়কর পরিবর্তন আনতে পেরেছেন নারীরা, এ কথা সত্য। রাঁধা আর চুল বাঁধার শতকরায় একজন নারী এগিয়ে যাচ্ছেন অনেক দূর। আমাদের শোবিজের
নারীরাও বহু গুণে গুণান্বিত। অভিনয় করছেন, চিত্রনাট্য লিখছেন, করছেন পরিচালনাও। কেউবা আবার এসবের পাশাপাশি গাইছেন গান, হচ্ছেন মডেল, আঁকছেন ছবি, করছেন প্রযোজনা।
একইসঙ্গে সামলাচ্ছেন সংসারও। বিশ্ব নারী দিবস সামনে রেখে অনেক গুণে গুণান্বিত শোবিজের কয়েকজন নারীকে স্মরণ করল মেলা’

বিপাশা হায়াত
নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী ছিলেন বিপাশা হায়াত। শুধু অভিনয়ে তার পরিচিতি সীমবিদ্ধ নয়। তিনি বহু গুণে গুণান্বিত। অভিনেত্রীর পরিচয়ের বাইরেও তিনি একজন চিত্রশিল্পী, কাহিনীকার, উপস্থাপিকা ও আবৃত্তিকার। গুণী অভিনেতা আবুল হায়াতের বড় কন্যা বিপাশা হায়াত। ১৯৮৩ সালে প্রথম নাটকে অভিনয় করেন তিনি। নাটকটির নাম ছিল ‘খোলা দুয়ার’। মূলত তিনি পরিচিতি লাভ করেন প্রয়াত লেখক নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘অয়োময়’ নাটকে লবঙ্গ চরিত্রে অভিনয় করে।
নব্বই দশকে রূপনগর, হারজিত, একজন অপরাধিনী, নাইওর, ছোট ছোট ঢেউ, প্রত্যাশা, দোলাসহ জনপ্রিয় নাটকগুলো দিয়ে তিনি পৌঁছে যান জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
টিভি নাটকের পাশাপাশি তিনি মঞ্চেও কাজ করেছেন। মঞ্চে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে নাগরিকনাট্য সম্প্রদায় দলে। চলচ্চিত্রে খুব কম কাজ করলেও চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। আগুনের পরশমণি সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এই সম্মাননা অর্জন করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি অসংখ্য নাটক রচনা করেছেন। তার লেখা প্রথম নাটক হচ্ছে ‘শুধু তোমাকেই জানি’। এটা ১৯৯৭ সালে প্রচারিত হয়েছিল। প্রথম প্যাকেজ নাটক ‘প্রাচীর পেরিয়ে’-এর নায়িকাও তিনি ছিলেন।
উপস্থাপনা ও আবৃতিতে ছিলেন সমান দক্ষ। চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী ছিলেন তিনি। ছবি আঁকাতে বেশ পারদর্শী তিনি। বইয়ের প্রচ্ছেদ তৈরির কাজও তিনি করে থাকেন।
অভিনয়, গল্প লেখা, ছবি আঁকা, উপস্থাপনা, কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি খুবই দক্ষতায় সামলে নিচ্ছেন নিজের সংসার। ব্যক্তি জীবনে তিনি অভিনেতা তৌকীর আহমেদের স্ত্রী। দুই সন্তানের জননী তিনি।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যেমন পেয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসা, তেমনি পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।
আফসানা মিমি
নব্বই দশকে যে কয়জন অভিনয়শিল্পী নিজেদের অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী আফসানা মিমি। টিভি নাটকে তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘জিরো পয়েন্ট’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আফসানা মিমি ১৯৯০ সালে ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। একের পর এক নাটকে অভিনয় করে সে সময়ে প্রথম সারির একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নাটকের পাশাপাশি ১৯৯২ সালে ‘দিল’ সিনেমা দিয়ে প্রথমবার চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এরপর তিনি ‘নদীর নাম মধুমতি’, ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’, ‘প্রিয়তমেষু’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০০ সালে ধারাবাহিক নাটক ‘বন্ধন’ দিয়ে প্রথমবার পরিচালকের খাতায় নাম লেখান। এরপর গৃহগল্প, সাড়ে তিনতলা, কাছের মানুষ, ডলস হাইস, পৌষ ফাগুনের পালা, সাতটি তারার মিমির, সায়াংকাল নাটকগুলোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। নাটক পরিচালনায় আসার পর অভিনয়ের ব্যস্ততা কিছুটা কমিয়ে দেন এই গুণী শিল্পী। টিভি, মঞ্চ, সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাও করতেন তিনি। অভিনয় জীবনে পেয়েছেন বহু পুরস্কার। বর্তমানে অভিনয়ে কম দেখা গেলেও নাটক পরিচালনায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। অচিরেই মুক্তি পাবে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘পাপ-পুণ্য’। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে রয়েছেন।

মৌসুমী
মৌসুমী বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় আগমন ঘটে। প্রথম সিনেমা দিয়ে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ব্যবসা সফল সিনেমা দিয়ে নিজেকে শীর্ষে নিয়ে যান। দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই দর্শকনন্দিত তারকা অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রে অভিনয় স্বরূপ তিন-তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাচসাস, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননা অর্জন করেছেন এই অভিনেত্রী। শুধু চলচ্চিত্রেই নন, টিভি নাটক, টেলিফিল্মেও অভিনয় করেছেন তিনি। একজন অভিনেত্রীর বাইরেও তার আরো পরিচয় আছেন। চলচ্চিত্র নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। ২০০৩ সালে তার পরিচালনায় প্রথম সিনেমা ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ মুক্তি পায়। এছাড়া ‘মেহের নিগার’ সিনেমার নির্দেশনার দায়িত্বে যৌথভাবে ছিলেন মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঙ্গে। ‘শূন্য হৃদয়’ নামে একটি টেলিফিল্মও পরিচালনা করেন তিনি। অভিনয়, পরিচালনা ছাড়াও তিনি একজন কণ্ঠশিল্পী। চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন তিনি। ১৯৯৪ সালে ‘মৌসুমী’ সিনেমায় ‘ভালোবাসা বলে নেই তো কিছু’ গানে প্রথম কণ্ঠ দেন। এরপর তিনি ‘মগের মুল্লুক’ সিনেমায় আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে কণ্ঠ দেন, ২০০৭ সালে ইথুন বাবুর সুরে ২০১৪ সালে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত তারকাঁটা ছায়াছবিতে ‘কি যে শূন্য লাগে তুমিহীনা’ গানে কণ্ঠ দেন। ‘হৃদয়ের বন্ধন’ ও ‘মাতৃত্ব’ সিনেমায়ও গান করেন তিনি। এছাড়া মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ছায়াছবি চলচ্চিত্রে ‘মন যা বলে বলুক’ গানের গীত রচনা করেছেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি চিত্রনায়ক ওমর সানীকে বিয়ে করেছেন। তাদের ঘরে ফারদিন এহসান স্বাধীন ও ফাইজা নামে দুই সন্তান রয়েছে। অভিনয়, পরিচালনা, গান গাওয়ার মতো সংসার জীবনও খুব সুন্দরভাবে পালন করছেন এই গুণী অভিনেত্রী।

সাদিয়া ইসলাম মৌ
সাদিয়া ইসলাম মৌ একাধারে একজন মডেল, অভিনয়শিল্পী ও নৃত্যশিল্পী। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। নব্বই দশকে সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন সাদিয়া ইসলাম মৌ। এখনো অনেক তরুণীর আদর্শ মডেল তিনি। তাকে অনুসরণ করে হাজারো তরুণী মডেল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। টিভি বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড মানেই সর্বত্র সাদিয়া ইসলাম মৌ। মডেলিংয়ের পাশাপাশি টিভি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। নাটকের সংখ্যা কম হলেও অভিনেত্রী হিসেবে নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। মডেলিং, অভিনয় ছাড়াও সাদিয়া ইসলাম মৌ একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘অভিমানে অনুভবে’। প্রথম ধারাবাহিক নাটক ছিল ‘লাল নীল বেগুনী’। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘শ্যামা’, ‘মায়ার খেলা’, ‘চণ্ডালিকা’ ও ‘নকশীকাঁথার মাঠ’ ইত্যাদি। এছাড়া তিনি অভিনয় করেছেন ‘অল দ্য বেস্ট’, ‘বদনাম’, ‘মনে পড়ে রুবি রায়’, ‘নীল আকাশ প্রেম বিষ’ ইত্যাদি টিভি নাটকে। এখন আর সেভাবে মডেলিং করেন না মৌ। তবে নৃত্যে এখনো সরব তিনি। বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি অভিনেতা জাহিদ হাসানকে বিয়ে করেছেন। পুষ্পিতা ও পূর্ণ নামে তার দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানেও তিনি সমান ব্যস্ততা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে সামলে নিচ্ছেন নিজের সংসার।

মেহের আফরোজ শাওন
মেহের আফরোজ শাওন বহু পরিচয়ে পরিচিত। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, কণ্ঠশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, নির্মাতা ও স্থপতি। তিনি নৃত্যশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রতিযোগিতা নতুনকুঁড়িতে বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালে হুমায়ূন আহমেদের নক্ষত্রের রাত ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনয় জীবন শুরু করেন। অভিনয় জীবনে তিনি অনেক জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত নাটক দর্শক মহলেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। অভিনীত নাটকগুলো হচ্ছে আজ রবিবার, সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড, উড়ে যায় বকপক্ষী ইত্যাদি। তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া, আমার আছে জল। তার পরিচালিত নাটকগুলো হচ্ছে নয়া রিক্সা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, এভারেস্ট জয় ইত্যাদি। কৃষ্ণপক্ষ সিনেমাটি তার নির্দেশনায় প্রথম চলচ্চিত্র। ‘যদি মন কাঁদে’ গানটির জন্য জাতীয় ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করন। অভিনয় নির্দেশনার পাশাপাশি তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত গায়িকা। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিয়ে করেছিলেন প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে। নিনিত ও নিষাদ নামে দুই পুত্র সন্তানের মা তিনি।

হৃদি হক
প্রয়াত নাট্যঅভিনেতা ড. ইনামুল হক ও অভিনেত্রী লাকী এনাম দম্পতির বড় মেয়ে হৃদি হক। বাবা-মায়ের পরিচয়ে নয়, নিজ গুণে নিজের কর্মদক্ষতায় পরিচিতি লাভ করেছেন হৃদি হক। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি মঞ্চ, টিভি নাটক ও সিনেমায় নির্দেশনার কাজ করছেন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ‘নাগরিক নাট্যজ্ঞান’ নামক বিখ্যাত নাট্য দলের সঙ্গে জড়িত। গোলমাথা চোখামাথা, প্রাগৈতিহাসিকসহ তিনি একাধিক মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। নাগরিক নাট্যাঙ্গনের হয়ে তিনি প্রথম মঞ্চে নির্দেশনা দেন ২০১৫ সালে ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’ নাটকটি। এরপর মঞ্চে নির্দেশনা দেন ‘৭১ ও একজন’ নাটকটি। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি অনেক ধারাবাহিক নাটক তার হাতে-কলমে লিখেছেন। আমাদের আনন্দবাড়ী, দেওয়াল, ইকারাসের ডানা, উনিশ কুড়ি, হেই রাজকন্যা, দেয়াল ইত্যাদি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ‘১৯২০’ নাটকটি তিনি পরিচালনা করেন যেটা তাকে অনেক খ্যাতি এনে দেয়। তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন টিভিতে পরিচালনা করেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘নাইনটিন টুয়েন্টি’ এবং ‘মিডিয়া ভুবন’। অনেক নাটকে তিনি পোশাক নকশার দলে অসামান্য ভূমিকাও রেখেছেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ১৯৭১ সেইসব দিন-এর সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন হৃদি। নাটক নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি তিনি পাণ্ডুলিপি রচনাও করেন।
হ গ্রন্থনা : রোমান রায়

নুসরাত ফারিয়া
এ প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। অভিনয়ের পাশাপাশি গায়িকা হিসেবেও সফল তিনি। যদিও তার শুরুটা হয়েছিল উপস্থাপনা দিয়ে। শোবিজ অঙ্গনে উপস্থাপিকা হিসেবে তার আলাদা একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয় ২০১৫ সালে ‘আশিকী’ সিনেমা দিয়ে। এরপর তিনি ‘হিরো ৪২০’, ‘বাদশা দ্য ডন’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘ধ্যাততেরিকি’, ‘বস২’, ‘ইন্সপেক্টর নটিকে’, ‘শাহেনশাহ’ ইত্যাদিতে অভিনয় করেন। ওপার বাংলায়ও রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। সেখানেও কাজ করে যাচ্ছেন সমান তালে। দুই বাংলায় তার সমান ব্যস্ততা যাচ্ছে। নিজের গায়িকী দিয়েও মাত করে রেখেছেন ভক্ত-দর্শকদের। ২০১৮ সালে পটাকা শিরোনামে প্রথম গান প্রকাশিত হয়। প্রথম গানেই ব্যাপক হিট হয়। এরপর আমি চাই থাকতে ও হাবিবি গান বের করেন। এ দুটি গানও ভক্ত-শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়। অভিনেত্রীর পরিচয়ের সঙ্গে গায়িকা হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নেন। ‘ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন’ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে সিনেমাতে অভিনয় নিয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। দুই বাংলায় অভিনয়, গান ও পড়াশোনা সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়