ভাঙাড়ির দোকানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, মালিকসহ দগ্ধ ৫

আগের সংবাদ

যুদ্ধের বাজারেও সিন্ডিকেট! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে অসাধু চক্র > বাজারে সরকারের মনিটরিং দুর্বল

পরের সংবাদ

বই পড়া, পড়া বই : ‘ই-বুকে আমার আগ্রহ নেই’

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানুষ যত বেশি বই পড়বে তার জ্ঞানের পরিধি তত বাড়বে। বই মানুষের হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। বই পড়ার নানা দিক নিয়ে কথা হয় অভিনেতা প্রাণ রায়ের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার :
রেজা শাহীন
ছেলেবেলার পাঠ
পাঠ্য বইয়ের বাইরে কবিতার বই বেশি পড়া হতো তখন। কবিতা চর্চা করতাম। জীবনানন্দ দাশ, রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের অনেক কবিতা পড়েছি। কবিতা ছাড়াও গল্প, উপন্যাস পড়া হয়েছে। পাঠ্য বইয়ের প্রতি আমার তেমন আগ্রহ ছিল না। স্কুলে পড়বার সময় বিভিন্ন কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। সে কারণে কিছু কিছু কবিতা মুখস্থ করে রাখতাম।

সাম্প্রতিক পাঠ
সম্প্রতি শহীদুল জহিরের ছোটগল্পের একটা বই পড়া হয়েছে। এর আগে আনিসুল হক এবং সৈয়দ শামসুল হকের বই পড়েছি।

যে ধরনের বই বেশি পড়া হয়
আমার উপন্যাস পড়তে ভালো লাগে। তার চেয়েও ভালো লাগে ছোটগল্প। উপন্যাস পড়তে গেলে লম্বা সময়ের প্রয়োজন। সে কারণেই ছোটগল্প বেশি পড়া হয়।

প্রিয় লেখক
হুমায়ূন আহমেদের লেখা আমি খুব পছন্দ করি। তার লেখা পড়ার সময় গল্পগুলো চোখের সামনে দেখতে পাই। তাছাড়া আনিসুল হক এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখাও ভালো লাগে। যে গল্পে আমি আমার ছোটবেলা খুঁজে পাই, আমার তরুণ বয়সটা খুঁজে পাই সে রকম গল্প আমার ভালো লাগে।

কেন বই পড়ব
বই পড়ে নিজের ভেতর একটা ফ্যান্টাসি তৈরি করা যায়। বইয়ের ঘটনাগুলো নিজের মতো করে ভেবে নেয়া যায়। বই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার একটা অন্যতম মাধ্যম। এখন তো ই-বুক আছে। ই-বুকে আমার আগ্রহ নেই একেবারে। কারণ বেশিক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে পারি না। তাছাড়া ই-বুক পড়তে গেলে মনোযোগ থাকে না। একটা কাগজের বই পড়ার যে আনন্দ সেটি ই-বুকে পাওয়া যায় না।
লেখালেখি
লেখালেখি এই গুণটা একদমই নেই আমার মধ্যে। মাথায় অনেক গল্প ঘুরপাক খায়। কিন্তু সেটি প্রকাশ পায় না, লিখে রাখা হয় না। তবে অবসর পেলে ছবি আঁকা হয়। আমি আমার অভিজ্ঞতাগুলো মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। কোথাও নিজের কথাগুলো হয়তো লিখে রেখে যাব।

বইমেলার স্মৃতি
১৯৯৫ সালে প্রথমবার একুশে বইমেলায় গিয়েছিলাম। তখনকার বইমেলা উপলক্ষে বইয়ের পাশাপাশি কবিতার ক্যাসেটও বের হতো। এটা একটা আকর্ষণীয় বিষয় ছিল। আমার মনে আছে কামরুল হাসান মঞ্জুর কবিতার ক্যাসেট কিনেছি মেলা থেকে।
এখকার মতো এত লোক হতো না মেলায়। কিন্তু সে রকম আনন্দ এখন আর পাওয়া যায় না। শুনতাম সবাই সেজেগুজে বইমেলায় যায়, অনেকেই তার প্রেমিকা সঙ্গে নিয়ে যায় বই কিনতে। আমিও পরিকল্পনা করি কাকলীকে নিয়ে মেলায় যাওয়ার। একদিন আমরা দুজন বইমেলায় যাই। কাকলী সেদিন শাড়ি পরেছে। আর আমি পরেছিলাম পাঞ্জাবি। কাকলীকে নিয়ে বইমেলায় ঘোরাটা একটা আনন্দের বিষয় ছিল।
বইমেলায় গিয়ে আরো আনন্দ পেয়েছিলাম যেদিন সৈয়দ শামসুল হককে দেখেছি। তারপর একবার হুমায়ূন আহমেদকে বইমেলায় দেখেছি। তাকে দেখতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। যখন মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হই তখন থেকে প্রতি বছরই বইমেলায় যাওয়া হয়।
কাকতালীয়ভাবে আমি যেদিন বইমেলায় যাই সেদিন আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। প্রতিবছর আনিসুল হকের বই তার কাছ থেকে অটোগ্রাফ দিয়ে নেয়াটা একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। বইমেলায় যাওয়ার কারণে অনেক বইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়, লেখকের সঙ্গে পরিচয় হয়, এটা খুব
আনন্দের বিষয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়