দুদককে টিআইবি : সিন্ডিকেটের চাপেই কি শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি?

আগের সংবাদ

জীবনযাপনে মানসিক সুস্থতাও জরুরি

পরের সংবাদ

রপ্তানি বন্ধে ক্ষতির মুখে পানচাষিরা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লিটন চক্রবর্তী, রাজবাড়ী থেকে : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পানের সুখ্যাতি দীর্ঘদিনের। এখানকার পান রপ্তানি হতো বিভিন্ন দেশে। করোনার প্রভাবে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন পানচাষিরা। অনেকে বরজ ভেঙে অন্য ফসল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তবে কৃষি কর্মকর্তারা শুনিয়েছেন আশার বাণী।
জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার আড়কান্দি, বেতেঙ্গা, চরআড়কান্দি, ইলিশকোল, স্বর্প বেতেঙ্গা, খালকুলা, বহরপুর, যদুপুর এলাকায় পানের ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। বালিয়াকান্দিতে সাধারণত দুই ধরনের পান উৎপাদন হয়। মিষ্টি পান ও সাচি পান। মিষ্টি পান রাজবাড়ী জেলার চাহিদা মিটিয়ে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তাানি করা হতো। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো। করোনার কারণে এখন পান রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াকান্দিতে ৮৮ হেক্টর জমিতে মিষ্টি পান ও সাচি পানের চাষ করা হয়েছে। মোট ৮১৪টি পানের বরজের মধ্যে ৬৫৮টি মিষ্টি ও ১৫৬টি সাচি পানের বরজ রয়েছে উপজেলায়।
উপজেলার পান চাষি রবিউল, আব্দুল খালেক, সেলিম উদ্দিন জানান, পূর্বপুরুষের সময় থেকে তারা পানের চাষ করে আসছেন। পান চাষ খুবই লাভজনক ছিল। গত কয়েক বছর ধরে রপ্তানি বন্ধ থাকায় পানের বাজার মূল্য অনেক কমে গেছে। এছাড়া পানের রোগশোক হলে কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শও পাওয়া যায় না। এখন যে অবস্থা তাতে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহজ শর্তে ঋণ। তা না হলে পান চাষ বন্ধ করে দিতে হবে।
পান চাষি সঞ্জয় দেবনাথ জানান, গত বছর করোনার প্রভাবে পানে লোকসান গুনতে হয়েছে। এ বছর লাভের আশা করছিলেন। কয়েক দিনের ঘন বৃষ্টির কারণে পানের দাম নেই। আগে বিদেশে প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর পান বিদেশে পাঠাতে পারছেন না। ভালো দাম না থাকার কারণে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। সরকারিভাবে তাদেরকে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করলে পান চাষকে আরো লাভজনক ও জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন বলেন, একটা সময় পানের স্বর্ণযুগ ছিল। বালিয়াকান্দি থেকে পান বিদেশে রপ্তানি হতো। রপ্তানি করার আগে ঢাকা থেকে ধোয়া হতো। যে পানিতে ধোয়া হতো তাতে ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব মেলায় পান রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
বাংলাদেশের পান এখনো ভারত হয়ে গন্তব্যে যায়। আশার কথা হলো, পান রপ্তানির জন্য ঢাকার শ্যামপুরে নতুন একটি ল্যাব তৈরির কাজ চলছে। সরকার এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ ল্যাবটি চালু হতে পারে। কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে উপ-সহকারী কর্মকর্তা থাকার কথা। সেখানে রয়েছে দুজন করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়