দুদককে টিআইবি : সিন্ডিকেটের চাপেই কি শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি?

আগের সংবাদ

জীবনযাপনে মানসিক সুস্থতাও জরুরি

পরের সংবাদ

‘অভিনেতা না হলে হয়তো কবি হতাম’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিভিন্ন সমস্যায় বইয়ের জ্ঞান মানুষকে অনেক কঠিন সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত
নিতে সাহায্য করে। বই আত্মাকে পরিশুদ্ধি করে। বই পড়ার নানা দিক নিয়ে
কথা হয় অভিনেতা খায়রুল বাসার-এর সঙ্গে
ছেলেবেলার পাঠ
ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ের বাইরে তেমন বই পড়ার সুযোগ ছিল না। ধীরে ধীরে যখন বড় হচ্ছি তখন আমার বড় ভাই আমার জন্য বই নিয়ে আসত। যতদূর মনে পড়ে আমার পড়া প্রথম বই ছিল সেলিনা হোসেনের মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা একটা উপন্যাস। স্কুলে পড়ার সময় গল্প পড়া হতো বেশি। এক সময় উপন্যাসের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এদের উপন্যাস প্রথম দিকে পড়া হতো। পরে অন্যদের লেখাপড়া শুরু করি। ছোটবেলায় বাইরের বই কম পড়ার কারণেই হয়তো পাঠ্যবইয়ের গল্পগুলো এখনো মাথায় গেঁথে আছে। আমার মনে হয় পাঠ্য বইয়ের গল্পগুলো যেভাবে আমাদের মনে থাকে সেভাবে বাইরের বইয়ের গল্প মনে থাকে না।

সা¤প্রতিক পাঠ
সর্বশেষ বুদ্ধদেব বসুর ‘রাত ভরে বৃষ্টি’ উপন্যাসটি পড়েছি।

কেন বই পড়ব
বই মানসিক বিকাশের জন্য বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের কল্পনার জগতে আমরা নানান চিত্র আঁকতে পারি। এটি আমাদের সৃজনশীলতা বাড়ায়। বই আমাদের বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। যেসব ঘটনা পড়ার কারণে আমরা মানবিক হয়ে উঠি, প্রেমিক হয়ে উঠি। একজন নির্মল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে বই পড়াটা জরুরি।
প্রিয় লেখক
আমার সব লেখকের লেখাই ভালো লাগে। কোনো একজন লেখকের লেখা যখন ভালো লাগে তখন আমি ভালো লাগার কারণ খুঁজি। তেমনি কোনো একজন লেখকের লেখা যদি ভালো না লাগে সেটারও কারণ খুঁজতে থাকি। এ কারণেই সবাই আমার কাছে প্রিয় লেখক। আমি যে লেখকের বই পড়ি না কেন সবার লেখাই কোনো না কোনোভাবে আমাকে প্রভাবিত করে।

প্রিয় বই
বুদ্ধদেব বসুর লেখা ‘রাত ভরে বৃষ্টি’ বইটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। বলা যায় এই বইটি আমার পছন্দের। আমি এই বইটা বারবার পড়ব।

যে ধরনের বই বেশি পড়া হয়
গল্প কিংবা উপন্যাসের চেয়ে কবিতা আমার ভীষণ ভালো লাগে। একজন অভিনেতা হিসেবে মনে হয় কবিতার মাধ্যমে আমি প্রভাবিত। খুব ছোট একটা কবিতা পড়ে আমি অনেক বড় একটা গল্পের অনুভূতি পাই। কবিতার প্রতিটি লাইনে ভিন্ন ভিন্ন বার্তা থাকে, ঘটনা থাকে। একটা কবিতা পড়ার সময় অনেকগুলো ঘটনা যেন একসঙ্গে দেখতে পাই। অভিনেতা না হলে হয়তো আমি কবি হতাম।

লেখালেখি
যখন পেটে ভাত থাকত না তখন কবিতা লিখতাম, যখন প্রেমে পড়তাম কবিতা লিখতাম আবার যখন প্রেমে ব্যর্থ হতাম তখন লিখতাম। কবিতা আমার ভীষণ পছন্দের। আমি যদি আনন্দের জন্য কবিতা লিখি তাহলে সে আনন্দ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যদি বিরহের জন্য লিখি তাহলে সে বিরহ কেটে যায়। এখন কাজের চাপে তেমন লেখার সুযোগ হয় না। আমার কাছে মনে হয় কবিতা লেখার জন্য প্রচুর সময় দরকার। বেশকিছু কবিতা লেখা হয়েছে। কোনো একজন আমাকে বলেছিল, আমার সব কবিতা দিয়ে বই বের করে আমাকে সারপ্রাইজ দেবে। কিন্তু সে মানুষটা এখন নেই। তার মতো যদি কেউ এ রকম ভাবে তাহলে হয়তো বই বের হবে আমার। আমার দিক থেকে বই লেখার পরিকল্পনা নেই।

বইমেলার স্মৃতি
২০১০ প্রথমবার বইমেলায় গিয়েছি। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে থাকতাম। প্রথম যখন মেলায় গিয়েছিলাম মেলার সব স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেছি। সবশেষে বাংলা একাডেমির স্টলে গিয়ে দেখি বিশাল মূল্য ছাড়ে বই বিক্রি হচ্ছে। আমার তখন মনে হলো অল্প টাকায় এতগুলো বই কিনি তাহলে আমার বইগুলো পড়ার তাগিদ তৈরি হবে। তখন আমি ৩০-৩৫ বই কিনেছি। বইগুলো ছিল ভাষা, লোকজসংস্কৃতি, গান, যাত্রাপালা, ইত্যাদি বিষয়ক। খুব আনন্দ নিয়ে বইগুলো কিনে হলে গিয়েছিলাম। এই স্মৃতিটা মনে পড়ে খুব। হ রেজা শাহীন

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়