সোনারগাঁওয়ে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ ডাকাত গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

যেভাবে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : প্রতিদিন চারটি করে ক্লাস > নতুন কারিকুলাম > সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন > প্রাথমিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহ পর

পরের সংবাদ

শেরপুরে সামাজিক বনায়ন : ৮ বছরেও চুক্তিনামা দলিল পাননি অংশীদাররা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলায় আট বছরেও চুক্তিনামা দলিল পাননি সামাজিক বনের অংশীদাররা। ফলে তারা হতাশা আর অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তারা নিজস্ব অর্থ ও শ্রম দিয়ে বন সৃজন করেও তাদের চুক্তিনামা দলিল হাতে না পেয়ে এখন দিশাহারা। শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি রেঞ্জ, ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ ও নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা রেঞ্জের আওতায় প্রায় তিন হাজার অংশীদার রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ১৯৯২ সালে বন বিভাগের জমিতে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হাতে নেয় তৎকালীন সরকার। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গড়ে তোলা হয় বনের জমিতে সামাজিক বনায়ন। পাহাড়ি এলাকার হতদরিদ্র মানুষকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তাদের করা হয় সামাজিক বনের অংশীদার। এক হেক্টর বনের জমিতে সামাজিক বন সৃজন করে ১০ বছর মেয়াদে চুক্তিনামা করা হয় একেকজন অংশীদারের সঙ্গে। ১০ বছর পর বনের গাছ নিলামে বিক্রি করে ৫০ শতাংশ সরকার ৪০ শতাংশ অংশীদার ও ১০ শতাংশ পুনরায় বন সৃজনের জন্য টিএফ ফান্ডে রাখা হয়। কিন্তু টিএফ ফান্ডের ওই টাকা দ্বিতীয় দফায় বন সৃজনের সময় আর ব্যবহার করা করা হয় না। অংশীদারদের টাকায় সৃজন করা হয় বন। এভাবেই চলে আসছিল সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির কর্মকাণ্ড। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় এসে জমির পরিমাণ কমিয়ে অংশীদারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিজনের নামে দেয়া হয়েছে এক একর করে জমি। সামাজিক বনের বাকাকুড়া গ্রামের অংশীদার মুসা সরদার, নাওকুঁচি গ্রামের গোলাপ হোসেন, আবুল কাশেম, নিলু রঞ্জন, গান্দিগাঁও গ্রামের এনামূল কবির মানিকসহ আরো অনেকেই জানান, ২০১২ সালে তারা সামাজিক বনের অংশীদার হন। তারা অর্থ ব্যয় করে ও শ্রম দিয়ে বন সৃজন করেছেন। কিন্তু আজও তারা চুক্তিনামা পাননি। পাবেন কিনা এ বিষয়ে ও তারা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাদের মতে, এ উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার অংশীদারের একই অবস্থা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, সামাজিক বনায়ন সৃজনের পর উপজেলা বন উন্নয়ন কমিটির সভার অনুমোদনক্রমে অংশীদারদের চুক্তিনামা দলিল দেয়ার কথা। কিন্তু বন বিভাগ ওই সব অংশীদারের নামের তালিকা বন উন্নয়ন কমিটির সভায় অনুমোদনও করায়নি বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক বন কর্মকর্তা জানান, উপজেলা বন উন্নয়ন কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য নামের তালিকা পাঠানো হলে দলীয়ভাবে তালিকা নিয়ে টানাহিঁচড়া শুরু হয়। এ কারণে পাঠানো হয়নি। এ উপজেলায় অংশীদারের সংখ্যা কতজন জানতে চাওয়া হলে রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মকরুল ইসলাম আকন্দ সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি। শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুব বলেন, তিনি নতুন এসেছেন। সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তারা অংশীদারদের পরিসংখ্যান দিতে পারবেন। অংশীদাররা চুক্তিনামা দলিল না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দলিল যাতে পান এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়