চিড়িয়াখানায় ছড়িয়ে পড়ছে মহামারি অ্যানথ্রাক্স : অ্যানথ্রাক্সে সিংহীর মৃত্যু > খাবারের জন্য বাইরে থেকে আনা গরু জবাইয়ের আগে পরীক্ষার পরামর্শ

আগের সংবাদ

সার্চ কমিটিকে নিরপেক্ষ সুন্দর মনে করে আ.লীগ

পরের সংবাদ

বই পড়া, পড়া বই : ‘বাস্তবধর্মী লেখা বেশি ভালো লাগে’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বই মানুষের চিন্তার জগৎকে প্রসারিত করে। মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখে। বই পড়ার নানা দিক নিয়ে কথা হয় অভিনেত্রী জাহারা মিতুর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার : রেজা শাহীন

আমার পড়া প্রথম বই
ছোটবেলা থেকেই পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল আমার। কমিক্সের বই দিয়ে আমার শুরু। তখন মিনা কার্টুনের কমিক্স পাওয়া যেত। আমার বাবা আমার জন্য ‘চাচা চৌধুরী’, ‘পিঙ্কী’, ‘বিল্লু’ এই টাইপের কমিক্স কিনে আনত। আমার বাবা প্রচুর বই পড়তেন। বাবা নিজের জন্য বই কিনতে গেলে আমাদের জন্যও কিনে আনতেন। আমাদের পরিবারের সবাই শিল্পমনা। শিল্প-সাহিত্যের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়েছে পরিবার থেকেই।
সাম্প্রতিক পাঠ
যখনই অবসর পাই বই পড়ি। আজকেও একটা বই পড়ছি। বইটার নাম ‘ওসি-হতনামা’। বইটি লিখেছেন যোবায়েদ আহসান।

কেন বই পড়া উচিত
বই মানুষকে মেধাবী করে তোলে। এখনকার জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা বই পড়তে চায় না। এটি চিন্তার বিষয়। আমরা যখন বিভিন্ন লেখকের বই পড়ি তখন কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন বিষয় জানতে পারি। বই জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করে। এক কথায় বলতে গেলে বই মানুষকে আলোকিত করে।
যে ধরনের বই বেশি পড়া হয়
বাস্তবধর্মী লেখা আমার বেশি ভালো লাগে। যে লেখায় বাস্তবতা ফুটে উঠে, যে লেখা মন ছুঁয়ে যায়- এরকম বই পড়তে অভ্যস্ত আমি।
প্রিয় লেখক
প্রিয় লেখকের তালিকায় অনেকেই আছেন। তবে হুমায়ূন আহমেদ এবং সমরেশ মজুমদার এ দুজন আমার ভীষণ প্রিয়। এই দুজনের লেখা পড়ার সময় মনেই হয় না যে বই পড়ছি। মনে হয়, আমি ঘটনার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।
বইমেলার স্মৃতি
২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির দিন বন্ধুদের সঙ্গে প্রথমবার বইমেলাতে যাই। আমার বন্ধুদের বই কেনার পরিকল্পনা ছিল না। আমার দেখাদেখিতে ওরাও অনেক বই কিনেছে ওইদিন। শুধু বইমেলা না আমি যখন যেখানে যাই বই কেনার চেষ্টা করি। আমি প্রায় সময় নীলক্ষেত ঘুরে ঘুরে বই কিনি। বই কেনা অনেকটা নেশার মতো হয়ে গেছে।
প্রিয় বই
সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ বইটি পড়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এই উপন্যাসের ‘দীপাবলী’ চরিত্রটি মনে দাগ কেটে গেছে।
লেখালেখি
আমি এক সময় প্রচুর লিখতাম। বাবা ছিল আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। ২০১৮ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর তেমন একটা লেখা হয় না। বাবা হারানোর কষ্টটা ভর করে আছে। তবে সামনে হয়তো বইও লিখে ফেলতে পারি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়