বিএসএমএমইউ : ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ্

আগের সংবাদ

গতিহীন প্রকল্পে সীমাহীন দুর্গতি > টঙ্গী-গাজীপুর মহাসড়ক : ৫ বছরের কাজে ১০ বছর পার

পরের সংবাদ

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চ্যালেঞ্জ সীমিত জনবল

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২ , ১১:৩৮ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খাদ্যে ভেজালকারীদের কঠোরহস্তে দমন করার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। জনবল সংকট প্রধান সমস্যা হলেও ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। ২০২১-২২ অর্থবছরে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ৮০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে খাদ্যে ভেজালকারী ৭৪ জনকে সাজা দিয়েছে সংস্থাটি। জরিমানা করা হয় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, খাদ্যের মান ও নিরাপদতা রক্ষার জন্য সারাদেশ থেকে ঝুঁঁকিভিত্তিক নমুনা সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের ১০টি ডেজিগনেটেড ল্যাবের মাধ্যমে তা বিশ্লেষণপূর্বক ফলাফল যাচাইকরণের কাজ করা হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২ হাজার ৭৬০টি। যার মধ্যে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয় ২ হাজার ৩৫৪টি, মানসম্মত নমুনা ছিল ২ হাজার ৮৫টি এবং মানহীন নমুনা ২৬৮টি। অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যেখান থেকে ৭২০টি নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। মানসম্মত নমুনা পাওয়া যায় ৬৩৭টি এবং মানহীন নমুনা ছিল ৮৩টি।
এছাড়া মোবাইল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে রাজধানীর ১৩০টি স্থানে পরিদর্শন করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং ল্যাবরেটরির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক পরীক্ষা (৯০টি মাছের নমুনায় ফরমালিন টেস্ট) করা হয়ে থাকে।
নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল ও সুশৃঙ্খল কাঠামো। কোনো কারণে যদি এ কাঠামোর একটি ছোট অংশও আপস করা হয়, তাহলে পুরো কাঠামো ভেঙে পড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এবং এটিকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নিরাপদ খাদ্যের অভাবের কারণে অপুষ্টির উচ্চ হার একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি সুবিধার এবং তাৎক্ষণিক পরীক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কীট ও যন্ত্রপাতির অভাব। তবে সীমিত জনবল অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে জানালেন কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে তারা বলেন, এত বড়

অবকাঠামো এই সীমিত জনবল দিয়ে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। যারা আছেন, তাদের অনেকের নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান নেই বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, হোটেল-রেস্তোরাঁ পর্যবেক্ষণ শেষে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করেন না। নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকদের মধ্যে খাদ্য নিরাপদতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানেরও অভাব রয়েছে।

আজ নিরাপদ খাদ্য দিবস

আজ বুধবার পালিত হবে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২২-এর শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম উপস্থিত থাকবেন।
এবারের দিবসে উঠে আসবে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) তথা ট্রান্সফ্যাটের ক্ষতির কথা। এটি এমন এক বিষাক্ত খাদ্য উপাদান, যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ট্রান্সফ্যাটমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে সব ধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাবারে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রবিধানমালা প্রকাশ করেছে। প্রবিধানমালাটি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ট্রান্সফ্যাটজনিত হৃদরোগ ঝুঁকি কমিয়ে আনতে কাজ করবে। গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়