অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

বোয়ালমারীর আশ্রয়হীন হাসিবুল সারাদিন ঘুরে রাস্তায় রাস্তায়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে : যে বয়সে একটা শিশুর খেলাধুলা আর লেখাপড়া করার কথা, সে বয়সে নিজের অন্ন সংস্থানের দায়িত্ব নিজেরই কাঁধে। হাসি উচ্ছ¡লতায় মেতে থাকার পরিবর্তে নিজের দুবেলা দুমুঠো খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা। সমাজের আর ১০টা শিশুর শৈশবের সীমাহীন বায়না মেটানোর ভার যখন বাবা-মায়ের ওপর, তখন নিজের খাবার সংগ্রহের জন্য সকাল-সন্ধ্যা হাড়ভাঙা পরিশ্রম। এ নিষ্ঠুর নিয়তি মেনে নিয়েছে ১২ বছর বয়সি অনাথ, নিরাশ্রয় হাসিবুল। সে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। বাবা যে কবে মারা গেছেন তাও ঠিক মনে নেই। হাসিবুল শুধু জানে, সে কোলে থাকতে বাবা মারা গেছেন। গতকাল শনিবার সকালে হাসিবুলের সঙ্গে দেখা হয় বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে। লাঠির সঙ্গে লাল-সাদা রংয়ের হাওয়াই মিঠে লাগিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরছে। লক্ষ্য তার চেয়েও ছোট কিংবা তার মতো ছোট শিশুদের কাছে হাওয়াই মিঠে বিক্রি করা।
হাসিবুল জানায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা গ্রামে সে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। এরপর তাকে ফরিদপুর মুসলিম মিশনের এতিমখানায় রেখে এসে মা আবার বিয়ে করে। কিন্তু এতিমখানায় তার মন না টেকায় সেখান থেকে কিছুদিন পরে গ্রামে চলে আসে। ছোটবেলা বাবাকে হারিয়ে মাকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকার সুযোগটাও হাতছাড়া হয়ে গেছে মায়ের অন্যত্র বিয়েতে। উপায়ন্তর না থাকায় শেষ পর্যন্ত হাসিবুল বেছে নেয় বেঁচে থাকার তাগিদে নির্মম বাস্তবতার পথ। একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ময়না ইউনিয়নের হাটখোলারচর গ্রামের আব্দুল গফফার শেখ হাওয়াই মিঠের কারিগর। হাসিবুল স্বজনদের হাত ধরে গফফার শেখের বাড়িতে আসে জীবিকার খোঁজে। এরপর থেকে গফফার শেখ হাওয়াই মিঠে তৈরি করে আর হাসিব উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে।
হাসিবুল আরো জানায়, মালিক গফফার শেখ তাকে খাওয়া-দাওয়া ও থাকা বাদে মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা দেন। হাসিব প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকার হাওয়াই মিঠে বিক্রি করে। ১২ বছর বয়সি অনাথ, নিরাশ্রয় হাসিবুল জানে না তার অনাগত ভবিষ্যতের কথা। জানতেও চায় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়