লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

ভুুয়া পরোয়ানায় ২২ দিন কারাগারে জামাই-শ্বশুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ২২ দিন কারাভোগ করেছেন ক্ষেতলাল উপজেলার শফিউল ইসলাম (৫০) ও মঞ্জুরুল ইসলাম (২৮) নামে দুই ব্যক্তি। তারা দুজন সম্পর্কে শ্বশুর-জামাই এবং উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর সাখিদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গত ১৮ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা দুজন।
জয়পুরহাটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাটি তদন্ত করে জয়পুরহাট ডিবি পুলিশকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
ভুক্তভোগী শফিউল ইসলাম ও তার জামাতা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর পরোয়ানা দেখিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। ২৯ ডিসেম্বর তাদের আদালতের হাজির করা হয়। আইনজীবীর মাধ্যমে তারা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে গত ৭ জানুয়ারি তাদের কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৮ জানুয়ারি তারা ছাড়া পান। পরে জানতে পারেন ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় কারাগারে ছিলেন তারা।
জানা গেছে, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ একটি পিটিশন মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় শফিউল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরোয়ানায় উল্লিখিত ৭২/২০২০ নম্বরের পিটিশন মামলার বাদী বরিশালের গৌরনদীর হাপানিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান তালুকদারের মেয়ে তাহমিনা রহমান। মামলায় আসামি করা হয় তার স্বামী পাবনা সদরের চরপ্রতাপপুর গ্রামের এ এম আব্দুস সামাদ বকুলকে।
বিষয়টি নিয়ে পরে জয়পুরহাটের চিফ জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে খণ্ড নথি পাঠালে বিচারক পর্যালোচনা করে শফিউল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলাম নামে কেউ এ মামলার আসামি নন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জাল বলে আদেশের অনুলিপি জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম কারাগারে থাকা শফিউল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলামকে অব্যহিতি দেন। একই সঙ্গে জাল ও ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে শফিউল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে আদালত থেকে বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জয়পুরহাট জেলা পুলিশে পাঠানো হয়। জেলা পুলিশের মাধ্যমে ক্ষেতলাল থানায় ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়