তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের নাকচ : ইউক্রেনকে ন্যাটোতে না নেয়ার দাবি রাশিয়ার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেনকে সামরিক জোট ন্যাটোতে না নেয়ার যে দাবি রাশিয়া তুলেছে, তা নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশ নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত বুধবার রাশিয়ার দাবির বিষয়ে তার দেশের অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানায় বিবিসি।
ব্লিংকেন বলেন, কূটনৈতিক পথে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এটি রাশিয়ার গ্রহণ করা উচিত। রাশিয়ার একজন মন্ত্রী বলেন, নোটের মাধ্যমে যে জবাব যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তা নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণের আলোচনায় নিজেদের আপত্তি আর দাবির একটি তালিকা লিখিতভাবে দিয়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার পথ পাকাপাকিভাবে বন্ধ করার দাবিও সেখানে ছিল। এমনকি সেখানে ন্যাটোর সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হবে না- এমন প্রতিশ্রæতিও চেয়েছিল রাশিয়া। গত বছরের শেষ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ফোনালাপের আগে-পরে মস্কো এসব দাবি সামনে আনে।

গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো বলে আসছে, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তারা মনে করছে। তবে রাশিয়া তা অস্বীকার করে আসছে। ব্লিংকেন বলেন, তার দেশের মূলনীতিতে কোনো অস্পষ্টতা নেই। যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং ন্যাটোর মতো কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয়ার অধিকার রক্ষার পক্ষে। তার ভাষায়, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আন্তরিকতা নিয়ে কারো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে সমান মনোযোগ দিচ্ছে, যাতে তারা রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন মোকাবিলা করতে পারে। তিনি বলেন, বিষয়টি এখন নির্ভর করছে রাশিয়ার ওপর, তারাই ঠিক করবে, তারা কীভাবে সাড়া দেবে। যে সিদ্ধান্তই তারা নিক, আমরা প্রস্তুত আছি।
চলতি সপ্তাহেই ‘সামরিক সহায়তার’ তিনটি চালান ইউক্রেনে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র, এন্টি আর্মার উইপন এবং কয়েকশ টন গোলাবারুদ রয়েছে সেসব চালানে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সে দেশের সরকারে ‘মস্কোপন্থি কাউকে বসানোর ষড়যন্ত্র’ করছেন বলেও এ সপ্তাহে অভিযোগ তোলে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ মন্ত্রীরা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা হলে রাশিয়াকে ‘চরম পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য বা বিভক্তির কথা অস্বীকার করেছেন ব্লিংকেন। তার ভাষায়, ন্যাটো নিজস্ব একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবগুলোকেই নিয়েই করা হচ্ছে। ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, তাদের জোটের বক্তব্য লিখিতভাবে মস্কোতে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়গুলো তারা শুনতে চান। কিন্তু নিজেদের মতো করে প্রতিরক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার অধিকার সব দেশেরই আছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ অবশ্য ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্যকে ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’ আখ্যায়িত করেছেন। বুধবার রাশিয়ার পার্লামেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে ন্যাটোর সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে স্টলটেনবার্গের বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ল্যাভরভ বলেন, আপনারা জানেন, তার বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলা আমি অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়