নাসির-তামিমার বিয়েকাণ্ডে মামলা : অভিযোগ গঠনের আদেশ ৯ ফেব্রুয়ারি

আগের সংবাদ

ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত : যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য, আইসোলেশনের সময়সীমা ৫ দিনের বেশি চান বিশেষজ্ঞরা

পরের সংবাদ

তজুমদ্দিনে আলুর বাম্পার ফলনের আশা চাষিদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শরীফ আল-আমীন, তজুমদ্দিন (ভোলা) থেকে : তজুমদ্দিন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বছর ব্যাপকহারে আলু চাষ হয়েছে। মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় বিগত বছরের তুলনায় আলুর বাম্পার ফলনে আশাবাদী চাষিরা। আগামী এক থেকে দেড় মাস পরেই উৎপাদিত আলু ঘরে তুলবেন চাষিরা। তাই তারা আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা গেছে, আলু চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ব্যাপক আলু চাষ হয়েছে। এখানে সাধারণত বিএডিসি, ডায়মন্ড ও হাইব্রিড এই তিনটি জাতের আলুর চাষ হয়। তবে উচ্চ ফলনের আশায় অধিকাংশ কৃষক ডায়মন্ড ও বিএডিসি জাতের বীজ বেশি রোপণ করেছেন। এ বছর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৫০ টন।
এদিকে মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেক কৃষকের রোপণ করা আলুর বীজ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া প্রস্তুত করা জমিতে পানি জমে যাওয়ায় দেরিতে হলেও চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় পুনরায় জমি প্রস্তুত করে মাঠজুড়ে আলু চাষ করেছেন।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের আলুচাষি আবদুল মতিন বলেন, নিজের জমি না থাকায় নগদ টাকায় অন্যের জমি রেখে প্রতি বছর আলুর চাষ করি। গত বছর আলুর চাষ করে প্রায় এক লাখ টাকা লাভ করেছি। তাই এ বছর ১২০ শতাংশ (৮ কড়া) জমিতে ডায়মন্ড ও বিএডিসি জাতের আলুর চাষ করি। প্রতি কড়া জমিতে সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচসহ প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হবে। রোগবালাই না থাকলে প্রতি কড়া (৮ শতাংশ) জমিতে ৩০ মণ করে আলু পাওয়ার আশাবাদী। এতে করে বেশ লাভবান হব।
আলুচাষি মজির উদ্দিন ও কবির বলেন, ১৬০ শতাংশ জমিতে মৌসুমের প্রথমে ডায়মন্ড জাতের আলু রোপণ করি। বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে সম্পূর্ণ বীজতলা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরে বিএডিসি বীজ ক্রয় করে একই জমিতে পুনরায় আলু আবাদ করি। আলুগাছ অনেকটা রোগমুক্ত। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে এবং রোগবালাই আক্রমণ না করলে আশা করি ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, আলুর জন্য ক্ষতিকর হলো ঘন কুয়াশা, যা এখনো দেখা যায়নি। কুয়াশার কারণে নাবিধ্বষা রোগ হয়ে আলু গাছের পচন ধরে।
এমন রোগ দেখা দিলে প্রতিষেধক হিসেবে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি সকালে সেচ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া আলুর চাষ করলে একই মৌসুমে আলু তোলার পরেই কুমড়ার চাষ করে অতিরিক্ত লাভবান হওয়া যায়। শুরু থেকেই আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। তারাও সময় মতো পরিচর্যা করায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়