প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

শিকল দিয়ে বেঁধে জমি দখলের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : আটঘরিয়ায় রাশিদা খাতুন নামের এক বিধবা নারীকে শিকল দিয়ে বেঁধে জমি দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার জেলার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামে।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে চাঁদভা ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামে একই এলাকার রহিম উদ্দিনের ছেলে রমিজ উদ্দিন গং লাঠিসোটা দিয়ে বিধবা রাশিদাকে বেদম মারপিট করে। পরে তার হাতে শিকল দিয়ে বেঁধে জমির উপর টিনের ঘর তুলে জমি দখল করে নেয়। এ সময় স্থানীয়রা ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিলে ভিডিও ভাইরাল হয়।
বিধবা রাশিদা খাতুনের অভিযোগ, তার ২০ শতাংশ আবাদি জমি রমিজ উদ্দিন গং শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে এসে তাকে মারপিট করে শিকল দিয়ে বেঁধে দখল করে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রাশিদার ছেলে মিনারুল ইসলামের অভিযোগ, বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা না নিলে ৯৯৯-এ ফোন দিলে আটঘরিয়া থানার এসআই আবুল কালাম ঘটনাস্থলে গিয়েও রমিজ উদ্দিনের পক্ষে অবস্থান নেয়।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী অভিযোগ করে বলেন, রমিজ উদ্দিন ঘটনার দিন বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে এই বিধবার জমি দখল করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
এলাকাবাসী আরো জানান, থানার এসআই আবুল কালাম আসামিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে তাদের পক্ষ নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জমি দখলের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আটঘরিয়া থানার এসআই আবুল কালাম বলেন, শিকল দিয়ে বাঁধা ঘটনাটি সাজানো নাটক।
চাঁদভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, এক নারীকে শিকল দিয়ে বেঁধে জমি দখল করে নেয়া হয়েছে এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে দেখে তার নজরে এসেছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় থানার এসআই আবুল কালামকে পাঠানো হয়েছিল। তবে তিনিও দাবি করে বলেন, শিকল দিয়ে বাঁধার বিষয়টি সাজানো। আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়