নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

গাইবান্ধায় বিক্ষোভ : বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি রোধে ৫ দফা দাবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : বিদ্যুৎ বিভাগের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে ৫ দফা দাবি আদায়ে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল রবিবার দুপুরে শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে নাট্য সংস্থা চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে ৫ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা মাসুদার রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমান, সহসভাপতি দেবল কুমার সরকার, আব্দুল হালিম, মাহাবুবর রহমান সুমন, মাহাবুর মিয়া প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৬ সালে পিডিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, ওই তিন বছরে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের ওপর চাপানো হয়েছে। ওই অতিরিক্ত বিল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত কমিটির সুপারিশ ছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন না করায় বর্তমান সময়েও গ্রাহকদের প্রতি অতিরিক্ত বিল করার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। বক্তারা ওই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তারা আরো বলেন, ২০১১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি টাকার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই সব বিল সংশোধনের নামে কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করছেন। বিদ্যুৎ গ্রাহক এবং সেচ মালিকদের ওপর অতিরিক্ত বিল চাপিয়ে দিয়ে তাদের ওপর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করে অনেককে বাড়ি ছাড়া করেছে, এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত বিল সংশোধন না করে সেচ পাম্প মালিকদের ওপর মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদ করায় বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে এবং অনেককে নতুন করে সেচ পাম্প চালাতে দিচ্ছে না।
বিল সংশোধনের জন্য হাইকোর্টে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও বিল অনাদায়ের নামে সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ হয়রানিমূলক মামলা দেয়া অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সময়মতো সেচ পাম্প মালিকরা সংযোগ না পাওয়ায় বোরো সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে জেলার কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে। সমাবেশ শেষে বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির প্রতিনিধিরা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ওপর মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ এবং সার্বিক বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে এক স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়