বিজিবির অভিযান : কক্সবাজারে উদ্ধার ৩০ কোটি টাকার আইস

আগের সংবাদ

আলোচনার কেন্দ্রে ইসি আইন

পরের সংবাদ

মাত্রাতিরিক্ত গো-খাদ্যে সিসায় মরছে গরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সারোয়ার হোসেন শাহীন, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে : কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চান্দপুর পূর্বপাড়া ও মদিনাছপাড়া গ্রামে এক মাসে কৃষকের ৩০টি গরু মারা গেছে। বিষাক্ত সিসায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর মুখে রয়েছে বহু গরু। অনেক দরিদ্র কৃষকের একাধিক গরু মারা যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার চান্দপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শফিক মিয়ার একটি ৯ মাসের গর্ভবতী গাভী মারা যায়। একই দিন মোশারফ মিয়ার ১টি গরু মারা যায় এবং আরো ৩টি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া গত এক মাসে চান্দপুর পূর্বপাড়া ও মদিনাছ পাড়া গ্রামের জজ মিয়ার ৩টি, রমজান মিয়ার ২টি, মস্তোফার ২টি, আব্দুল হাইয়ের ২টি, স্বপন মিয়ার ২টিসহ আরো বেশ কয়েজনের গরু মারা গেছে। এছাড়া এলাকার অনেক কৃষকের গরু অসুস্থ আছে এবং প্রতিদিনই নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিষক্রিয়ায় ১৭টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এলাকাবাসী জানান, এক মাসে অন্তত ৩০টি গরু মারা গেছে। এদিকে অজ্ঞাত রোগে গরু মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও হাসপাতালের ডা. জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩ সদস্য ও কটিয়াদী উপজেলা ভ্যাটেনারি সার্জন ডা. নাছির উদ্দিন মুন্সির নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা মৃত ও আক্রান্ত গরুর নমুনা সংগ্রহ করে গত ৪ জানুয়ারি পরীক্ষার জন্য চিফ সায়েন্টিফিক অফিসারের কার্যালয়, ঢাকায় পাঠিয়েছেন। গত ১০ জানুয়ারি চিফ সায়েন্টিফিক অফিসারের কার্যালয় ল্যাব এর রিপোর্টে ওই এলাকার খড় ও পানিতে অতিমাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আক্রান্ত এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্প কারখানা এলাকা এবং এর আশপাশের পরিবেশে উৎপাদিত/প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গো-খাদ্য ও পানি পরিহার এবং গবাদি পশুর মাঝে বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওসমান গণি জানান, অজ্ঞাত রোগে গরু মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং মৃত ও অসুস্থ গরুর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা চিফ সায়েন্টিফিক অফিসারের কার্যালয় ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পাঠায়। ল্যাব রিপোর্টে দেখা যায় আক্রান্ত এলাকায় খড় এবং পানিতে মাত্রাতিরিক্ত সিসার উপস্থিতি পাওয়ায় যায়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অতিমাত্রার সিসা মানবদেহের মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়