ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : ১৯ পদে মাত্র ৬ শিক্ষক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এইচ এম জসিম উদ্দিন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) থেকে : দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারী সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে চলছে মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে ১৯ জন শিক্ষকের বিপরীতে আছেন মাত্র ৬ জন। অন্যদিকে ৭ জন কর্মচারীর পদ দীর্ঘদিন ধরেই খালি রয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ৬ বছর ধরে। বাংলা বিষয়ে আর একটি পদ ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে খালি রয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝিতে তিনিও পিএলআরে চলে যাবেন। দাপ্তরিক কাজ সামলে নিয়মিত ক্লাস নেয়া তার পক্ষে বেশির ভাগ সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। অর্ধযুগ ধরে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদটিও খালি পড়ে আছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা গণিত বিষয়ের পদটিই দীর্ঘদিন ধরে খালি। ফলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত এবং নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিত বিষয়ের পাঠদান চলছে গোঁজামিল দিয়ে। জীববিজ্ঞানের একমাত্র পদটিও শূন্য। সামাজিক বিজ্ঞানের ৩টি পদের বিপরীতে নেই কোনো শিক্ষক।
দীর্ঘদিন ধরে নেই ভূগোলের শিক্ষকও। গার্হস্থ্য বিষয়ের ২টি পদের বিপরীতে নেই কোনো শিক্ষক। ফলে মহিলা শিক্ষক দিয়ে পাঠদানের এ বিষয়টি পুরুষ শিক্ষক পাঠদান করতে গিয়ে পড়ে যান বিপাকে। কৃষি শিক্ষা বিষয়ের পদটিও শূন্য রয়েছে অনেক বছর ধরে। হিন্দু ধর্মেরও নেই কোনো শিক্ষক। উচ্চমান সহকারী ও নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক ২টি পদ শূন্য পড়ে আছে ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে। ৫ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে নেই কেউই। মাস্টার রোলে ২ জন মহিলাকে নিয়োগ দিয়ে কোনো রকমে কাজ চলছে। অর্ধযুগ ধরে চলে আসছে বিদ্যালয়ের এ নাজুক অবস্থা। ফলে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে ৮০০ থেকে এখন ৪৯১ জনে নেমে এসেছে।
এমন পরিস্থিতিতেও শূন্য পূরণ না করে শিক্ষক বদলি করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে মুখথুবড়ে পড়েছে মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা।
১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৮৪ সালে জাতীয়করণ হয় মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য বিভাগসহ বর্তমানে প্রায় ৫০০ ছাত্রী রয়েছে এ বিদ্যালয়ে। চলতি বছর ২৩টি জিপিএ ৫ সহ প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এদিকে স্থানীয় অভিভাবকসহ সচেতন মহলের দাবি, নারী শিক্ষায় এলাকার বাতিঘর এ স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী সংকট কাটিয়ে স্কুলটির স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সব মহলের সুদৃষ্টি প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র দিয়েও কাজ হচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়