কাগজ প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) যারা তৈরি করেছিলেন, তারাই এখন এই এজেন্সিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। র‌্যাব ভালো কাজ করলেও সেটা সামনে আসছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জাতিসংঘে চিঠি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সবসময় বলে আসছি, যদি পেছনের দিকে তাকান- র‌্যাব কখন তৈরি হয়েছিল। যারা এ বাহিনীটিকে তৈরি করেছিল, এখন তারাই আবার অপছন্দ করছে, নানা ধরনের অপপ্রচার করছে।
তিনি বলেন, র‌্যাব যে ভালো কাজ করছে সেগুলো তারা তুলে ধরছেন না। র‌্যাব যে মাদকের বিরুদ্ধে, ভেজালদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে, দস্যুমুক্ত করল, চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে, তারা সবসময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের জন্য কাজ করছে। সেই কথাগুলো তারা কখনো তুলে ধরেন না। তারা নানা ধরনের মানবাধিকারের কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমরা তো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি যে, এমন কোনো দেশ নাই যেখানে এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ যদি অস্ত্র তুলে কথা বলে, বাহিনীর সদস্যরা তখন নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে না। তখনই এ সমস্ত ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটে। সবকিছুই যদি এলিট ফোর্স র‌্যাবের ঘাড়ে দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি, এটা তাদের প্রতি অবিচার হচ্ছে।

আপনি বলছেন, র‌্যাব ভালো কাজ করছে, যারা র‌্যাব তৈরি করেছিল তারাই এর বিরোধিতা করছে। তাহলে কি বলা যায় র‌্যাব রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে? এ প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আপনারাই বিচার করবেন, আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।
সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জুয়া আইনের শাস্তি বাড়ানো যায় কিনা, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে সেই পরামর্শটি এসেছে। এই আইনটি ব্রিটিশ আমলের। এই আইনটি কোথা থেকে কিভাবে হয়েছিল সেটা আমরা এখন খুঁজে বের করেছি। এই আইনটিকে আমরা এখন যুগোপযোগী করার ব্যবস্থা করছি। দেশে পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট, ১৮৬৭ নামে যে আইনটি রয়েছে তা রাজধানীতে প্রয়োগের সুযোগ নেই। এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে ইহা প্রযোজ্য হইবে।