সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : ইসি আইনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহল নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের মহৎ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠনগুলো, সমাজের বিশিষ্টজন ও সংশ্লিষ্টদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, যা ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে খসড়া আইন অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহল নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের মহৎ উদ্যোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চিরাচরিত অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের অপরাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। দেশের বিশিষ্টজন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের নির্দেশনা মেনে নতুন আইন তৈরির উদ্যোগকে যেখানে স্বাগত জানিয়েছেন সেখানে বিএনপি ও তাদের দোসর দেশবিরোধী অপশক্তি দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংসদীয় রীতি অনুযায়ী খসড়া আইনটি সংসদে উত্থাপনের পর আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। সেখান থেকে সুপারিশ আকারে সংসদের বৈঠকে উঠবে এবং সংসদীয় বিধান অনুযায়ী সংসদে আলোচনার মধ্য দিয়ে আইনটি চূড়ান্ত হবে। জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদল এবং বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা তাদের মতামত ও প্রস্তাব উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন। অথচ গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার না মেনে পূর্ব নির্ধারিত দুরভিসন্ধি অনুযায়ী বিএনপি নেতারা এই আইন নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করতে শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও স্বৈরতন্ত্রের গর্ভে জন্ম নেয়া এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের আবর্তে পরিচালিত বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান সব সময়ই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াবিরোধী।
তিনি বলেন, যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল ও গোষ্ঠী স্বার্থ চরিতার্থের অভিপ্রায়েই নির্ণিত হয় বিএনপির রাজনৈতিক গতিপথ। তাই বিএনপি নেতারা নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের উদ্যোগকে স্বাগত না জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে অপরাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। আইনটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার জন্যই তারা অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছে। কারণ তাদের জন্মই হলো সাংবিধানিক ও প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে চোরাগুপ্তা পথে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। এই আইন প্রণয়ন নিয়ে কোনো ধরনের লুকোচুরি করা হয়নি, রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে এ বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
কিন্তু গণতান্ত্রিক রীতি ও প্রক্রিয়াকে ভয় পায় বলেই বিএনপি সংলাপে অংশ নেয়নি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও শান্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে সব স্টেকহোল্ডার তথা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ই ২০১২ ও ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের আলোকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নেয়ার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। ওই দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়নের দাবি জানায়। বিএনপিও তখন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছিল। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সদ্য সমাপ্ত হওয়া সংলাপে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। আওয়ামী লীগও সংলাপে অংশ নিয়ে এই আইন প্রণয়নের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়