দুদকের মামলা : অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে ওসি প্রদীপের আবেদন

আগের সংবাদ

‘কাগুজে’ বিদেশি বিনিয়োগ : সাড়া মেলে নিবন্ধনের এক-তৃতীয়াংশের,হ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সুশাসনের অভাব

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম নগরী : খেলার মাঠে মেলা ঘরমুখী শিশুরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীতে প্রয়োজনের তুলনায় খেলার মাঠের সংখ্যা কম। যেগুলো রয়েছে সেগুলোও খেলার জন্য উপযুক্ত নয়। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রমণের কারণে খেলার মাঠ বন্ধ ছিল। তারপরও করোনার প্রভাব কিছুটা কমে এলেও এসব মাঠে বিভিন্ন মেলা আয়োজন করায় শিশু-কিশোর ও তরুণরা খেলাধুলা করার সুযোগ পায়নি।
সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে নগরীর কয়েকটি মাঠে আবার বিভিন্ন মেলা আয়োজনের কারণে খেলাধুলার যে সুযোগটুকু ছিল তাও হাতছাড়া হয়ে গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকরা সকাল-বিকাল হাঁটার জন্যও তেমন কোনো খালি জায়গা পাচ্ছেন না।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসজুড়ে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকাতে আউটার স্টেডিয়াম মাঠটিতে ছিল মাসব্যাপী বিজয়মেলা। সেই মেলা শেষ হয়েছে। কিন্তু মাঠের স্বাভাবিক পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি খেলার জন্য। জানুয়ারির ৭ তারিখ থেকে নগরীর পাহাড়তলী এলাকার শাহজাহান মাঠে চলছে মাসব্যাপী মেলা। যেটির আয়োজক চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার কর্তৃপক্ষ। ফলে এখানেও খেলাধুলা বন্ধ। উত্তর কাট্টলীতে নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এর মধ্যে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে তাঁত ও বস্ত্রমেলা। ওই স্কুল কমিটির নামে আয়োজিত মেলাটির জন্য স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নেতৃত্বে এই মেলাটির পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছেন সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম দিদার।
এভাবে নগরীর কোনো না কোনো মাঠ নানা অজুহাতে বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন। ফলে শিশু-কিশোর ও তরুণদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকরা বঞ্চিত

হচ্ছেন এসব উন্মুক্ত মাঠ ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এতে করে নতুন প্রজন্ম অনেকটাই ঘরবন্দি হয়ে আছে গত দুই থেকে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে। এরা ঝুঁকে পড়ছেন মোবাইলের ওপর। ফলে চোখের যেমন ক্ষতি হচ্ছে পাশাপাশি মানসিক অবসাদগ্রস্ততায়ও পেয়ে বসেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, চট্টগ্রামের খেলার মাঠগুলো বছরের অধিকাংশ সময় বিভিন্ন মেলা কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানের নামে দখল করে রাখা হচ্ছে। এর ফলে নতুন প্রজন্ম ভয়াবহ মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে চলছে। গত কয়েক দশকে নগরীতে জনসংখ্যা বাড়লেও খেলার স্থানগুলো হারিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে আর আগের মতো খেলোয়াড় উঠে আসছে না। আর এ রকম একটি অস্থির পরিবেশে বেড়ে উঠছে আমাদের সন্তানেরা। মাঠের অভাবে মানসিক ও শারীরিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের সন্তানদের।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজন যেসব স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শতাধিকের ওপরে সেসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকেই মাঠের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান। তিনি বলেন, যেসব স্কুলে রয়েছে খেলার মাঠ, সেগুলো উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তাই আগামী প্রজন্মকে একটি উন্নত, সুশিক্ষিত, সুস্থ মানসিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য খেলার মাঠের প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী। এজন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়