আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার : আরসাপ্রধানের ভাই শাহ আলী আটক

আগের সংবাদ

বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ৩ মাস ধরে বন্ধ ড্রেজার : নদী পুনরুদ্ধার কাজে বাধা

পরের সংবাদ

মাধবপুরে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে সাফল্য : হিমাগার স্থাপনের দাবি কৃষকদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজীব দেব রায় রাজু, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া। তরমুজ চাষ করে সারাদেশে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। এবার তিনি গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে পেয়েছেন সফলতা। কৃষক বদু মিয়ার এই সফলতা দেখে অনেকেই এখন আগ্রহী হচ্ছেন গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে।
বদু মিয়া জানান, গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো ধাপে ধাপে চাষ করা যায়। এ পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে এক লাখ টাকা খরচ হয়। টমেটোর ধর যদি ভালো থাকে এক বিঘা জমিতে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। এক লাখ টাকা খরচ করে ২ লাখ টাকা লাভ হয়। তিনি বলেন, রাজা, কনক- এ দুটি জাতের টমেটো চাষ করেছি। দুটি জাতের ফলন ভালো। এই জাতের টমেটো বাজারে টক হিসেবে বিক্রি করা যায়। ঢাকায় বিএডিসির সেচ ভবনে সবসময় সবজি বিক্রি করি। টমেটো জমি থেকে সরাসরি ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করি। সিলেট বিভাগের কৃষি বিপণন বিভাগের ডেপুটি ডাইরেক্টর এসে পরিদর্শন করে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে প্রথমে ১শ টাকা কেজি বিক্রি করা গেছে। এখন ১৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমাদের টমেটো চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, সিলেট, ছাতকসহ বিভিন্ন জাায়গায় বিক্রি হয়।
এই সফল চাষি বলেন, এলাকার কৃষকদের সবার দাবি, এলাকায় একটি হিমাগার স্থাপন করে দেয়া হোক। এতে টমেটো সংরক্ষণ করতে সুবিধা হবে।
কৃষক মিল্লাদ মিয়া বলেন, আমার বড় ভাই বদু দীর্ঘদিন ধরে কৃষির সঙ্গে জড়িত। আমি আমার ভাইয়ের পাশাপাশি ২ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ১ বিঘা তরমুজ, ১ বিঘা টমেটো। লাভবান হয়েছি। ভবিষ্যতে তার সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে ২০/৫০ চাষি টমেটো চাষ করতে আগ্রহী। আমাদের এলাকায় একটি হিমাগার খুব প্রয়োজন। কারণ হিমাগারের অভাবে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যায়।
কৃষক রবিন মিয়া বলেন, কৃষিপণ্য ও সবজি অনেক সময় দিনে দিনে বিক্রি করা যায় না। তাই অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের এলাকায় একটি হিমাগার প্রয়োজন।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন, মাধবপুরে এবার ৪২০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার টমেটোর উৎপাদন ভালো। এর অন্যতম কারণ নতুন যে পদ্ধতি এসেছে কৃষকরা সে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। সিলেট কৃষি বিপণন বিভাগের ডেপুটি ডাইরেক্টর জাহাঙ্গীর আলম জানান, গ্রাফটিং পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতি, যা তিত বেগুনের মাধ্যমে করা হয়। যার ফলে এই টমেটোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়