গ্যালারি কায়া : বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের নিয়ে ‘এপিক ১৯৭১’

আগের সংবাদ

স্বস্তির ভোটে আইভীর হ্যাটট্রিক : সব শঙ্কা উড়িয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট, শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হেরেছে নৌকা

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর দর্শন চর্চা ও আজকের বাস্তবতা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

(শেষ কিস্তি)
একটি স্বাধীন রাষ্ট্রব্যবস্থায় ন্যায্যতা, সুশাসন ও সামাজিক স্থিতিশীলতা আনার জন্য বৈষম্যমুক্ত হওয়া জরুরি। অথচ বৈষম্যের বিস্তারের মধ্য দিয়ে আজ মুক্তির পথ খুঁজছেন অতি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। প্রজাতন্ত্রের বেতন কাঠামো বৈষম্যের পাশাপাশি আজকাল জাতির জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে অবাস্তব জনবল কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠান ভেদে বেতন কাঠামোর তারতম্য। বিশ্বব্যাপী একটি বিষয় স্বীকৃত যে, উপর স্তরের জনবল সংখ্যা মধ্যম ও নিম্নস্তরের জনবলের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম হবে। এক্ষেত্রে পিরামিড ফর্মুলাই একমাত্র গ্রহণযোগ্য সমাধান। কিন্তু প্রশাসনের অতি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী সেই বিশ্বস্বীকৃতি রীতি সংস্কৃতি উপেক্ষা করে উপরের স্তরে জনবল সংখ্যা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি নিম্নস্তরে জনবল সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস করে ফেলছে। জনপ্রশাসন, প্রকৌশল, চিকিৎসা ও সেবার সর্বক্ষেত্রে একই ধরনের অরাজকতা বিরাজমান। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের তুলনায় শুধুমাত্র পদ-পদবি অলংকরণের তাগাদা থেকে উচ্চ স্তরে পদ সংখ্যার বৃদ্ধি কারণে সরকারে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ তাদের কাছ থেকে জাতি সে ধরনের সেবা পাচ্ছে না। বরং লক্ষ্য করা যায় অনেক কর্মকর্তা শুধু পদবি অলংকৃত করে বড় অঙ্কের বেতন-ভাতা, বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে বিলাস ভ্রমণ, গাড়ি, বাড়ি ও সহায়ক কর্মচারীর সুযোগ-সুবিধা অনৈতিকভাবে গ্রহণ করছে। এ ধরনের অনৈতিক ব্যয় আড়াল করতে আমলাতন্ত্রের অতি সুবিধাবাদী শ্রেণি এখন বিভিন্ন সংস্থায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির জনবল নিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। নিম্নস্তরের কাজ করার জন্য বিভিন্ন সংস্থায় আউট সোর্সিং জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে। ব্যাপক বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে অতি সুবিধাবাদী শ্রেণি যাদের আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করছে, তারা বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিলেও বছর শেষে বেতন বৃদ্ধির সুযোগসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে চাকরিগত কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আউট সোর্সিংয়ের জনবল অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হলেও প্রশাসনের উচ্চ শ্রেণি আউট সোর্সিংয়ের এক ধরনের দাসত্ব প্রথায় আদম ব্যবসা খুলে বসেছেন। জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন নিচ্ছেন। পাশাপাশি শ্রমজীবীর আয়ে ভাগ বসিয়েছে মধ্যস্বত্বভোগী। অথচ এসব উচ্চ শ্রেণির সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, চেতনা, দর্শনের দীক্ষা দেশবাসীকে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে- যেখানে বঙ্গবন্ধু শোষণ ও বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, সেখানে তাঁর আদর্শের নীতিবাক্য ছড়ানো এ সুবিধাভোগী গোষ্ঠীকে জাতি শোষণের মাধ্যমে দারিদ্র্যের কশাঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন? তাহলে আমরা বুঝে নেব, এরা মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ ধারণ করেন না? ইতিহাসের কঠিন সত্য থেকে এটি আজ সর্বত্র বলা হচ্ছে- অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। যে চোরদের প্রতি ইঙ্গিত করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী। এসব বৈষম্যমূলক বিষয় হয়তো প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে জানানোই হচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রমে জাতির আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবৃদ্ধি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের বাসস্থানের মৌলিক অধিকার পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাউজিং অথরিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কর্তৃপক্ষের কর্তাব্যক্তিরা অথরিটি গঠনের মূল উদ্দেশ্য জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার গৃহায়ন সমস্যা সমাধানে ন্যূনতম উদ্যোগও নেননি। তারা স্বীয় দায়িত্ব পালন না করে ঢাকায় রাজকীয় জীবনযাপন করছেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও সমাজ রাষ্ট্রের সর্বত্র এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর নেপথ্য কারণ অতি সুবিধাভোগীদের শোষণ মানসিকতায় সৃষ্ট কর্মপ্রতিক্রিয়া। শোষণ, বঞ্চনা, কর্মহীনতা ও বৈষম্যকে সঙ্গে নিয়ে কোনো জাতি টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে না। বেশ কয়েকটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা পারমাণবিক ক্লাবে প্রবেশ করেছি। মহাকাশেও আমাদের সরব উপস্থিতি। এরপরও কেন আমরা ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারছি না। সেটির গভীরে প্রবেশ করা এখন সময়ের দাবি। আমরা যদি প্রকৃত সত্য অনুধাবন করতে না পারি, বঙ্গবন্ধুকে হৃদয় থেকে ধারণ না করতে পারি, তাহলে বাহ্যিক উন্নয়নে রাষ্ট্র ধনী হলেও গণমানুষ অধিকার বঞ্চিতই থেকে যাবে। শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্যমুক্ত সমাজ রাষ্ট্র নির্মিত হবে না। বরং সুবিধাবাদী শ্রেণির আয়, ক্ষমতা, আভিজাত্য সবই গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পাবে। একদিন শোষিত, বঞ্চিত মানুষ অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাগ্রত হলে সব অর্জন মøান হয়ে পড়বে। সেটি হবে স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী মানুষের জন্য হতাশাজনক।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থার সুস্পষ্ট রূপরেখা দিয়েছিলেন। ড. কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনকে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের নির্দেশনা দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চাই আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষা ব্যবস্থা।’ আমরা বঙ্গবন্ধুর আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষা দর্শন থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। অথচ শিক্ষা উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষানীতি প্রণয়নের নামে বারবার অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ ও আনুষঙ্গিক কাজে লক্ষ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। দেশব্যাপী দৃষ্টিনন্দিত শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে উঠলেও বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন অনুধাবন করে কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষা বাস্তবায়ন ও মানসম্মত পাঠদান ও শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারিনি। বরং বাস্তবতা বিবর্জিত শিক্ষা দিয়ে আমাদের কর্মক্ষম তরুণ প্রজন্মকে বেকারত্বের সনদ তুলে দিচ্ছি। এ ধরনের সনদ দিয়ে বিজ্ঞান প্রযুক্তিনির্ভর ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। অথচ ৫০ বছর পর আজ বিশ্বব্যাপী সেই কর্মমুখী আধুনিক জ্ঞান ও দক্ষতানির্ভর প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা সম্প্রসারণের কথা বলা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার হার আজ ৫০ থেকে ৭০ ভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকে ন্যূনতম ৫০ ভাগে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্কুল পর্যায়ে ২০২০ সালে প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা প্রবর্তনের নির্দেশনা দিলেও নানা অজুহাতে ২০২০ সালে তা চালু হয়নি। ’২১ সালে করা হয়নি, ’২২ সালেও করা সম্ভব হবে না। শোনা যাচ্ছে ’২৩ সালে নাকি করা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে- এ ধরনের দীর্ঘসূত্রতার মাধ্যমে কি জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১-কে আংশিক হলেও বাধাগ্রস্ত করা হয়নি? ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে করাচিতে ১টি ও ঢাকায় ১টি পলিটেকনিক স্থাপনের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা যাত্রা শুরু করে। আজ পাকিস্তানে সরকারি পলিটেকনিকের সংখ্যা ১১/১২শ, ভারতে কয়েক হাজার হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে ৪৯টি পলিটেকনিক। এ বিষয় থেকে স্পষ্টত বলা যায়- আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে বা দেশপ্রেম বিবর্জিত ব্যক্তিবর্গ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শনকে উপেক্ষা করেছে। দেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বাধীনতার চেতনায় সমৃদ্ধ করতে হলে আমাদের অবশ্যই মানহীন বাণিজ্যিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। উচ্চশিক্ষাকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে। কেননা উন্নত সমাজব্যবস্থায় ৯৩ ভাগ ওয়ার্কফোর্স তৈরি হয় মাধ্যমিক থেকে আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন পর্যায় থেকে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা পর্যায় থেকে আসে মাত্র ৬-৭ ভাগ। অথচ আমাদের উচ্চ শ্রেণির কিছু মানুষ আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অস্থিরতা দেখালেও প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মধ্যম স্তরের শিক্ষা নিয়ে সর্বোচ্চ অবহেলা, অবজ্ঞা প্রদর্শন করে চলছে। জাতির প্রয়োজনে এবং বিশ্ব শ্রমবাজারের আঙ্গিকে শিক্ষা বিন্যাসে এখনই মনোযোগ না দিতে পারলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক বৈষম্যমুক্ত জাতিসত্তা নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। সেটি অবশ্যই কারো কাম্য হতে পারে না।
বছর দুয়েক পূর্বে মালয়েশিয়ার একটি শিক্ষা সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই সম্মেলনে নীতিনির্ধারণী বক্তব্যে বলা হয়েছিল- ‘ঐরমযবৎ বফঁপধঃরড়হ ঃযৎড়ঁমযড়ঁঃ ঃযব ড়িৎষফ যধং ংযরভঃবফ ঃযব রহ ঢ়ড়ষরপু ধঃঃবহঃরড়হ ঃড় ঞঠঊঞ.’ একইভাবে টঘ টহবাড়প ংঃৎধঃবমরবং-এ বলা হয়েছে ঃবপযহরপধষ ্ াড়পধঃরড়হধষ বফঁপধঃরড়হ ্ ঃৎধরহরহম ঃড় ভড়পঁং ড়হ বয়ঁরঢ়ঢ়রহম ধষষ ুড়ঁঃয ্ ধফঁষঃং রিঃয ঃযব ংশরষষং ৎবয়ঁরৎবফ হড়ঃ ড়হষু ঃড় ভরহফ ফবপবহঃ ড়িৎশ নঁঃ ধষংড় ঃড় নবপড়সব ধপঃরাব পরঃরুবহং রহ ধহ বয়ঁরঃধনষব রহপষঁংরাব ্ ংঁংঃধরহধনষব ংড়পরবঃু. তৎপ্রেক্ষিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত ৪র্থ শিল্পবিপ্লব ও বিশ্ব প্রতিযোগিতার এই সময়ে বাস্তবতা উপলব্ধি করে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কোর্স প্রবর্তন করা। কিন্তু ব্রিটিশ বেনিয়া দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনেকেই বেরিয়ে আসতে না পারায় বিশ্ব বাস্তবতা অনুধাবন করতে না পারায় উপেক্ষিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর দর্শন। স্বাধীনতার চেতনায় সমৃদ্ধ জাতি গঠনে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে অবশ্যই কঠোর থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতির পিতার কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষাদর্শন বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে ঞঠঊঞ-মুখী হওয়া উচিত। একইভাবে দেশের উন্নয়ন উৎপাদনের প্রায় সর্বক্ষেত্রে বড় বড় প্যাকেজের টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে শুধু দেশি-বিদেশি ও মাল্টিন্যাশনাল বড় বড় কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা নতুন উদ্যোক্তার বিকাশ হচ্ছে না। সে কারণেই করোনাকালীন সময়ে ২৪শ কোটিপতি সৃষ্টি হয়েছে এবং লক্ষ কোটি সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দরিদ্র হয়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তা হওয়ার কথা নয়।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করা গেছে- কোনো সময়ে সরাসরি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আবার কখনো সরকারের ভেতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিক্রিয়াশীলচক্রের নানামুখী কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার অনেক ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ বা দর্শন থেকে বিচ্যুত করে জাতিকে ভিন্ন পথে ধাবিত করা হয়েছে ও হচ্ছে। যা সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকে উসকে দিচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে দেশের গণমানুষ অধিকার বঞ্চিত হবে এবং চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
এ কে এম এ হামিদ : উন্নয়ন গবেষক ও সভাপতি, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়