গ্যালারি কায়া : বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের নিয়ে ‘এপিক ১৯৭১’

আগের সংবাদ

স্বস্তির ভোটে আইভীর হ্যাটট্রিক : সব শঙ্কা উড়িয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট, শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হেরেছে নৌকা

পরের সংবাদ

পর্দা উঠল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ওমিক্রনের কঠিন বাস্তবতাকে সঙ্গী করেই বিশে পৌঁছে গেল ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। গতকাল শনিবার বিকালে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে পর্দা উঠল ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রাজধানীর শাহবাগের জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। সভাপতিত্ব করেন উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। এ ছাড়া গত বছরে প্রয়াতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শুরুতে নৃত্যশিল্পী তামান্না হোসেনের পরিচালনায় ‘উৎসবের বাংলাদেশ’ শীর্ষক চারটি মনোমুগ্ধকর দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম। এবারের উৎসবে ১০টি বিভাগে বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশের মোট ২২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হয় লেবানন ও জার্মানির যৌথ প্রযোজিত এবং মারিয়া ইভানোভা জেড পরিচালিত ‘দ্য অ্যাঙ্গার’।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব খুবই মর্যাদাপূর্ণ একটি উৎসব। এটি ইতিবাচক ও সুস্থধারার জাতীয় চলচ্চিত্র সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে। এটি তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বৈশ্বিক শৈল্পিক ধারার সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই বার্ষিক উৎসব তরুণ মননে বৈচিত্র্য গ্রহণ, বিশ্বায়ন ও উদারবাদনীতিতে তরুণ প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কে এম খালিদ বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে একটি জাতি তার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পারে প্রকাশ করতে পারে। চলচ্চিত্র কতটা প্রভাবশালী সেটা আমরা দেখেছি, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে চলচ্চিত্রকে বেছে নিয়েছিল এবং তারা অত্যন্ত সফলও হয়েছিল। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ নিজের দেশের সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরছেন এবং বহির্বিশ্বের সুউপাদানগুলো সংযোজন করে আমাদের চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
এবারের উৎসবে অংশ নেয়া পূর্ণদৈর্ঘ্য (৫০ মিনিটের বেশি) চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৯টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৯৬টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র রয়েছে ৪০টি, যার মধ্যে ২২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন এবং ১৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য।
এ ছাড়া ১৬-১৭ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে ‘অষ্টম ঢাকা আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স-২০২২’ এবং ১৬-১৯ জানুয়ারি ২০২২ অলিয়ঁস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তনে ওয়েস্ট মিট ইস্ট: চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ) ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তন ও স্টার সিনেপ্লেক্সে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়