নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা প্রস্তাব এনপিপির

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্যাঞ্চল : গোপনপত্রে আরেক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি ঠিকাদারদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জামাল উদ্দীন, লামা (বান্দরবান) থেকে : বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগে চার বছর আগে নিয়োগকৃত সড়ক পরিবহন ঠিকাদারদের চুক্তির মেয়াদ আরো এক দফা বাড়ানো হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। বান্দরবান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কানিজ জাহান বিন্দু ভোরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কানিজ জাহান বিন্দু বলেন, তিন পার্বত্য জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক পরিবহন ঠিকাদার (আইআরটিসি) নিয়োগ কার্যক্রম চট্টগ্রাম বিভাগীয় সড়ক পরিবহন ঠিকাদারদের (ডিআরটিসি) সঙ্গে সম্পন্ন করতে হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে আইআরটিসি, ডিআরটিসি ঠিকাদার নিয়োগ করা যায়নি। কবে নাগাদ এ কার্যক্রম শুরু হবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা। অভিযোগ উঠেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর) উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে এমন গোপন চিঠিতে সময় বাড়িয়ে ঠিকাদার সিন্ডিকেটকে সহযোগিতা করে আসছেন।
জানা গেছে, ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সর্বশেষ ডিআরটিসি নিয়োগ করেছেন ২০০১ সালে। ২০০৫ সালে খুলনা এবং সিলেট, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল ২০১২ সালে। দীর্ঘ আট বছর পর ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম। দেশের ৮টি বিভাগীয় খাদ্যাঞ্চল ও ৬৪টি জেলার সরকারি খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগে দীর্ঘ এই সময়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি খাদ্য অধিদপ্তর। যদিও দুই বছর পরপর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের নিয়ম রয়েছে। তবে চিঠি চালাচালিতে দর এবং গোপন আঁতাতে তিন মাস অন্তর পুরনো ঠিকাদারদের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে দায়িত্ব শেষ করছেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা।
চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. ওয়াজেদ বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারাই এখন পরিবহন ঠিকাদারিতে ব্যস্ত। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা উপক্ষো করে তিন মাস অন্তর সময় বড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের এই দপ্তরটি। যার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
একই অভিযোগ, রাঙ্গামাটির ব্যবসায়ী মঈন উদ্দীন বাপ্পির। এ বিষয়ে জানতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমানকে একাধিকবার কল করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে করোনার ‘কারণে ঠিকাদার নিয়োগ সম্ভব হয়নি’ বলে দায় এড়ালেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম খান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়