চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ : সিরাজগঞ্জে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বদরুল আলম দুলাল, সিরাজগঞ্জ থেকে : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়েজুদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থ-সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থ-সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত বিবরণসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়েজুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে প্রায় দুই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৯-২০২১ পর্যন্ত বার বছরে হতদরিদ্রদের ৪০ ও ৬০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রতি বছরে ৬ লাখ টাকা করে মোট ৭২ লাখ টাকা আত্মসাৎ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ঘরে ঘরে সৌর বিদ্যুৎ প্রদানের কথা বলে প্রতিজনের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা করে মোট ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ও এমএসের ডিলারশিপ বেনামে নিয়ে ১০ টাকা কেজি দরের চাল কালো বাজারে বিক্রি করে ৪০ লাখ টাকা আয়। চাল পাচারকালে জনসাধারণ ও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মামলায় আসামি হয়ে জেলও খেটেছেন এই আয়েজুদ্দিন। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে জেলা পরিষদের ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ। জনসাধারষের চলাচলের জন্য সাবেক এমপি চয়ন ইসলামের দেয়া দুটি নৌকা বিক্রি করে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ। চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রয়াত সাবেক এমপির নাম ভাঙিয়ে নগদ ১০ লাখ টাকা গ্রহণ। ফেয়ার প্রাইসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ। টিআর কাবিখার নগদ ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ। ধীতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকাকালীন দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ দিতে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আয়েজুদ্দিন এসব অবৈধ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ আয় করেছেন।
এ বিষয়ে পূর্বে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবনা-সিরাজগঞ্জ সমন্বিত অঞ্চলের উপপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন বিক্ষুব্ধরা। বিষয়টি তদন্তে এলে পালিয়ে যান আয়েজুদ্দিন। সম্প্রতি আবারো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে মো. আয়েজুদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি অসুস্থতার কথা বলে ফোন কেটে দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়