গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা : সরিষাবাড়ীতে হামলায় আহত ছয় পুলিশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীদের মধ্য থেকে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের লোকজন গত বৃহস্পতিবার রাতভর এলাকায় আতশবাজি ফুটায়। এ ঘটনার পর শুক্রবার সকালে তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় রফিক গ্রুপে যুক্ত হওয়া বিএনপি নেতা এবং ৩ মামলার আসামি মোর্শেদকে আটক করে পুলিশ।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান গেট বন্ধ করে দিলেও উপর দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, এসআই সোহাগ, এসআই সুলতান, এএসআই মেহেদী, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান আহত হন। এদিকে এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৩টি মামলার আসামি মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে সকাল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এসবের কিছু জানা নেই। আর আমার লোকেরা থানায় হামলা করবে কেন? যে গ্রেপ্তার হয়েছে সেও তো আমার লোক নয়। এলাকায় কোনো ঘটনা হলেই আমার লোকের দোষ হয়। আমরা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করি। হামলা-ভাঙচুরের রাজনীতি করি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়