মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র : মাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত

আগের সংবাদ

সংসদ প্রাণবন্ত করার তাগিদ : বিশ্লেষকদের মতে, ‘৭০ ধারা বড় বাধা’, সংশোধনীর দাবি, কার্যকর বিরোধী দলের বিকল্প নেই

পরের সংবাদ

এক কি.মি. সড়কে খানাখন্দ : হোমনার ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. কামাল হোসেন, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে : হোমনা বাজারের ওভার ব্রিজ থেকে হোমনা সরকারি কলেজ হয়ে পূর্ব শ্রীমদ্দি ঈদগাহ পর্যন্ত পৌরসভার এক কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সড়কটির পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন সড়কের গর্তে পড়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ৫ হাজার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ভুক্তভোগী ২০ সহ¯্রাধিক মানুষ।
সরজমিন দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ ঢালাই উঠে গেছে। সেখানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। হোমনা পুরাতন ডাকবাংলোর সামনে, মহরম আলী মাস্টারের বাড়ির সামনে, লাখ মিয়ার বেকারির সামনে, মুকেন্দ মাস্টারের বাড়ির সামনে, গাংকুল বাড়ি মোড়, তারা মিয়া বেকারির সামনে, পূর্ব শ্রীমদ্দি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ঈদগাহর সামনের সড়কে বিশাল গর্ত। এসব গর্তে বিভিন্ন যানবাহন আটকে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। এছাড়া তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় বলেও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। তারপরও কোনো উপায়ন্তর না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এ সড়কে যাতায়াত করছেন ভুক্তভোগীরা। হোমনা ওভার ব্রিজের সিএনজি স্টেশনের লাইনম্যান মো. মোবারক হোসেন বলেন, এ সড়ক ব্যবহার করেই পৌরসভার শ্রীমদ্দি, লটিয়া, চরের গাঁ এবং আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহারিয়া ইউনিয়নের লোকজন প্রতিদিন হোমনা উপজেলা সদরে আসেন। এছাড়া হোমনা, তিতাস, মেঘনা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে হোমনা সরকারি কলেজে আসতে হয়। প্রতিদিন এ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। খানাখন্দে আটকে সিএনজি অটোরিকশাগুলো উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
অটোচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘সড়ক খারাপ হওয়ায় আমাদের অটোগুলো প্রায় সময় উল্টে যায়। এতে অটোগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি এর যাত্রীসহ আমরা চালকেরাও প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হই। সড়ক খারাপ হওয়ায় আমাদের অটোগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও হোমনা সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. হুমায়ন কবির বলেন, ‘আমরা পৌর সদরে বসবাস করলেও এই সড়কটির কারণে ঘর থেকে বের হতে মন চায় না। সড়কটির এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।’ হোমনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার ও রাশিদা আক্তার বলেন, সড়কের বড় বড় গর্তের কারণে রিকশায় ওঠেও দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে চলাচল করতে হয়। হোমনা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খানাখন্দের এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী উপজেলা সদরের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে। এতে করে অনেক শিক্ষার্থীই গর্তে পড়ে তাদের বই-খাতা ও জামা-কাপড় নষ্ট করে ফেলে। এটি পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে এসব দুর্ভোগ লাঘব করতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। হোমনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামাল হোসেন বলেন, হোমনা উপজেলার সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোমনা সরকারি কলেজ। দুই সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। কিন্তু কলেজে আসা-যাওয়ার সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় এবং এটি সংস্কার না করায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন কলেজে আসা-যাওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। হোমনা পৌর মেয়র এডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে অনেক আগেই। যাতে বেশি দিন টেকসই হয় তাই এটি আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে। এতে প্রায় কোটি টাকা খরচ হবে। আশা করছি, খুব শিগগিরই কাজ শুরু করে এ সমস্যার সমাধান করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়