ড. আব্দুর রাজ্জাক : ক্ষুধা মোকাবিলায় সার্ক দেশগুলোকে কাজ করতে হবে

আগের সংবাদ

আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী : আন্দোলনের মাধ্যমে কামাই করা যায় না মানবিকতা

পরের সংবাদ

ইউপি নির্বাচন : পোস্টারে ছেয়ে গেছে ভোলাহাটের জনপথ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : আসছে ২৬ ডিসেম্বর ভোলাহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নির্বাচনী মাঠে। মাঠে-ঘাটে, হাটে-বাজারে, চায়ের দোকান, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিজ প্রতীকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে ভোট ভিক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। প্রার্থীরা বিজয়ী হলে দেশ, সমাজ ও গ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন করবেন এমন প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে এলাকা, বিলি হচ্ছে লিফলেট। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি, প্রার্থীদের প্রচারণা সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দলে দলে প্রার্থীর পক্ষে পাড়া-মহল্লায় ভোট প্রার্থনায় নেমেছেন কর্মীরা। প্রার্থীরা নির্বাচনী অফিস নিয়ে বিস্কুট, চা-সিগারেট আর নির্বাচনী গান বাজিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করছেন। ভোটারের মধ্যেও শুরু হয়েছে কানাঘুষা। কে হবেন যোগ্য। কাকে ভোট দিলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বেন, বেছে নেবেন এমন জনপ্রতিনিধি। এদিকে সন্ধ্যা হলে থোকা থোকা শিশু বাহিনী চকোলেট কিংবা বিস্কুট পেয়ে নেমে পড়ছে প্রচারে। যে প্রার্থী চকোলেট কিংবা বিস্কুট দেবেন তার প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়ে।
গোহালবাড়ী ইউনিয়নের ভোটার মো. রিপন আলী বলেন, আগের চেয়ারম্যান ও মেম্বার টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেনি। যারা টাকা ছাড়া কাজ করবেন তাদের ভোট দেবো। চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা ভোটের জন্য আসছেন তবে ভেবেচিন্তে ভোট দেবো বলে জানান। দলদলী ইউনিয়নের ভোটার মো. গরিবুল জানান, সব জায়গাতে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সব জায়গায় ভোট ভোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভালো লোক দেখে ভোট দেবো। ভোলাহাট ইউনিয়নের ভোটার মো. এবাদুল বলেন, ভোটের সময় আরো এগিয়ে আসুক। কে কেমন জনসেবা করার অঙ্গীকার করছেন। দেখে-শুনে-বুঝে ভোট দেবো। ভোট নেয়ার সময় অনেক কথা বলেন পাস করলে কেউ কথা রাখেন না।
উপজেলার চারটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মোট ১৭ জন। তারা হলেন- ভোলাহাট ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থীর মো. আব্দুল খালেক (আওয়ামী লীগ), আনারস মার্কার প্রার্থী মো. ইয়াজদানী আলীম আলরাজি জর্জ (বিএনপি), মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী মো. পিয়ার জাহান (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মো. মাহাতাব উদ্দিন (বিএনপি), চশমা মার্কার প্রার্থী হাবিবুল্লাহ (জামায়াত)। নৌকা মার্কার প্রার্থী গোহালবাড়ী ইউনিয়নে মো. ইয়াসিন আলী (আওয়ামী লীগ), ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মো. আব্দুর রশিদ, চশমা মার্কার প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), আনারস মার্কার প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম (বিএনপি)। দলদলী ইউনিয়নে চশমা মার্কার প্রার্থী মো. মোজাম্মেল হক চুটু (বিএনপি), নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান (আওয়ামী লীগ), মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী মো. আরজেদ আলী (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), আনারস মার্কার প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন (বিএনপি), ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মো. মশিউর রহমান (বিএনপি)। জামবাড়ীয়া ইউনিয়নে চশমা মার্কার প্রার্থী মোহা. জগলুল হক (বিএনপি), আনারস মার্কার প্রার্থী মো. আফাজ উদ্দিন (বিএনপি), নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. পিয়ারুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)। ৩৬টি ওয়ার্ডে লড়ছেন ১৬৬ জন সাধারণ সদস্য পদে এবং ১২টি মহিলা সংরক্ষণ পদে লড়ছেন ৬৮ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়