মাসুদ রানা সিরিজ কার জানা যাবে ১৩ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই নিয়ে এনসিটিবির ঢিলেমি : যথাসময়ে ছাপার কাজ শুরু হয়নি > ১ জানুয়ারি আংশিক বই পাবে শিক্ষার্থীরা > মাঠে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

পরের সংবাদ

আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী : আন্দোলনের মাধ্যমে কামাই করা যায় না মানবিকতা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া প্রতিনিধি : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন মানবিকতা আন্দোলনের মাধ্যমে কামাই করা যায় না। আর আইন আইনের গতিতে চলবে। আপনাদের (বিএনপির) গতিতে চলবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে আখাউড়ায় সিরাজুল হক পৌর মুক্ত মঞ্চে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় তিনি এ কথাগুলো বলেন। এলাকাবাসীর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা হয়তো দোকানে, রাস্তাঘাটে শুনে থাকেন খালেদা জিয়া অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। না হলে আন্দোলন হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৭ জন সদস্যসহ নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই সত্য জানার পরও খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন জাতির এই শোকের দিনে। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের আস্থাহীন ভোটে তিনি (খালেদা জিয়া) একটি সংসদ বানিয়েছিলেন। সেই সংসদে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি আবদুর রশিদকে বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়েছিলেন।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের মৃত্যুর পর সমবেদনা জানাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রেী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বাসায় গেলেন। সেদিন গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। তাকে বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নয় সমগ্র বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছিল। তারপরও শেখ হাসিনা গত বছরের ২০ কী ২১ মার্চ আমাকে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি জেলখানায় আছেন। তার পরিবার একটা দরখাস্ত দিয়েছে তুমি আইনের মারফত তাকে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করো। দুটো শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তাকে জেল থেকে বাইরে আনার সিদ্ধান্ত হয়। একটি হলো উনি (খালেদা জিয়া) বিদেশ যেতে পারবেন না। আরেকটা হলো তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এমন বলিনি, তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না। তিনি হাসপাতালে গেছেন একাধিকবার, সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাকে বিচারিক আদালত সাজা দিয়েছে পাঁচ বছর। আপিল করার পর হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে করেছে দশ বছর। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, দুস্থদের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। সেই মামলায় আদালত কর্তৃক তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত। এত কিছুর পর মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে ওনাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দাঁড়াইতে দিলে বইতে চাই, বইতে দিলে শুইতে চাই, আর শুইতে দিলে ঘুমাইতে চাই। এখন অবস্থা হইছে এই রকম। এখন বিদেশে যাইতে দিতে হবে। তিনি বলেন, একটা আইনে কোনো দরখাস্ত যদি নিষ্পত্তি হয়ে থাকে- সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত আবার পুনঃবিবেচনা করার কোনো সুযোগ থাকে না। আমি দু’দুবার ওনার বিদেশ যাওয়ার আবেদন আইনমন্ত্রণালয়ে নাকচ করেছি। আপনারা দেখেছেন, শুনেছেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে ওনার পক্ষে ১৫ জন আইনজীবী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমি যে আইনের কথা বলেছি এবং যে আইনে আগের আবেদন নাকচ করেছি, তা সঠিক। তারপরও ওনারা যা বলেছেন, তার কোথাও কোনো নজির আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সময় নিয়েছি। আর ওনারা সেই সময় নেয়াকে দেখে বলছেন, আন্দোলন করবেন। এক দফা এক দাবি। মানবিকতা আন্দোলনের মাধ্যমে কামাই করা যায় না। আইন আইনের গতিতে চলবে। আইন জিয়াউর রহমানের গতিতে চলবে না। আইন আপনাদের (বিএনপি) গতিতেও চলবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে বলেন, আইনমন্ত্রী।
পরে মন্ত্রী আখাউড়ার ৫০০ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল্লাহ ভুঁইয়া বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুল রহমান, ইউএনও রুমানা আক্তার, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। এর আগে মন্ত্রী ট্রেনে করে আখাউড়ায় আসেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়